মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৭- যাকাতের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৯৮
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যেসব জিনিসের যাকাত দিতে হয়
১৭৯৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ পশুর আঘাতে দণ্ড নাই, কূপে পড়াতে দণ্ড নাই, খনিতে দণ্ড নাই এবং রেকাযে খুমুস রহিয়াছে (অর্থাৎ, এক পঞ্চমাংশ যাকাত রহিয়াছে)। — মোত্তাঃ
بَابُ مَا يَجِبُ فِيْهِ الزَّكَاةُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «العجماء جرحها جَبَّار والبشر جَبَّار والمعدن جَبَّار وَفِي الرِّكَاز الْخمس»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
'পশুর আঘাতে দণ্ড নাই'—অর্থাৎ, পশু কাহারও হাতে আবদ্ধ নহে এমতাবস্থায় কাহাকেও আঘাত হানিলে মালিকের প্রতি দণ্ড নাই। 'কূপে পড়াতে দণ্ড নাই'—অর্থাৎ, মালিক কূপ খনন বা সংস্কার করিতে কাহাকেও মজুরীতে ডাকিলে মালিকের ত্রুটি ব্যতিরেকে শ্রমিক দুর্ঘটনায় পতিত হইলে মালিকের সাজা হইবে না। খনিতে দণ্ড নাই'—অর্থাৎ, মালিকের ত্রুটি ব্যতীত শ্রমিক খনি দুর্ঘটনায় পতিত হইলেও মালিকের শাস্তি হইবে না। 'রেকায'—হানাফীদের মতে ইহার অর্থ, যমীনের গর্ভে প্রাপ্ত দ্রব্য — খনিতে প্রাপ্ত হউক বা কোথায়ও প্রোথিতরূপে। পক্ষান্তরে অপর ইমামগণের মতে ইহার অর্থ জাহেলিয়াত যুগের যমীনে প্রোথিত দ্রব্য। সুতরাং হানাফীদের মতে খনিতে প্রাপ্ত দ্রব্যের যাকাতও প্রোথিত দ্রব্যের ন্যায় এক পঞ্চমাংশ; কিন্তু খনিতে প্রাপ্ত দ্রব্যের যাকাত – যদি উহা সোনা-রূপা হয়; অর্জিত সোনা-রূপার ন্যায় চল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
