মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭৭১
৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৭১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি আমার সেই ঘরে প্রবেশ করিতাম যাহাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (শায়িত) আছেন, অথচ তখন আমি আমার (উপরের বড়) চাদর রাখিয়া দিতাম এবং বলিতাম যে, ইনি হইলেন আমার স্বামী, আর অপরজন হইলেন আমার পিতা; কিন্তু যখন হযরত ওমরকেও (এ ঘরে) দাফন করা হইল— খোদার কসম—তখন হইতে আমি কখনও আমার শরীর বস্ত্রে না ঢাকিয়া তথায় প্রবেশ করি নাই ওমর হইতে লজ্জার কারণে। —আহমদ
وَعَن عَائِشَة قَالَتْ: كُنْتُ أَدْخُلُ بَيْتِيَ الَّذِي فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنِّي وَاضِعٌ ثَوْبِي وَأَقُولُ: إِنَّمَا هُوَ زَوْجِي وَأَبِي فَلَمَّا دُفِنَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مَعَهُمْ فَوَاللَّهِ مَا دَخَلْتُهُ إِلَّا وَأَنَا مَشْدُودَةٌ عَلَيَّ ثِيَابِي حَيَاء من عمر. رَوَاهُ أَحْمد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
বিবি আয়েশার ঘরেই হুযূর ওফাত লাভ করিয়াছেন এবং তথায়ই তাহাকে দাফন করা হইয়াছে। পরে হযরত আবু বকর, অতঃপর হযরত ওমরকেও তথায় দাফন করা হইয়াছে। এ হাদীস হইতে বুঝা গেল যে, জীবিতকালে যাহার সম্মুখে যাইতে লজ্জা করা উচিত, মৃত্যুর পরেও তাহার সম্মুখে যাইতে তাহা করা উচিত।
