মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৬৮৭
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৮৭। হযরত মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান মরে, আর মুসলমানদের তিন ছফ লোক তাহার জানাযা পড়ে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য (বেহেশত) নির্ধারিত করেন। (পরবর্তী রাবী বলেন,) সুতরাং মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ যখন জানাযায় লোক কম দেখিতেন, তাহাদিগকে তিন ছফে ভাগ করিয়া দিতেন—এই হাদীসের কারণে। – আবু দাউদ
তিরমিযীর বর্ণনায় রহিয়াছে, রাবী বলেন, মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ যখন কাহারও জানাযা পড়িতে ইচ্ছা করিতেন এবং জানাযায় লোক কম বলিয়া মনে করিতেন, তাহাদিগকে তিন ভাগ করিয়া দিতেন। অতঃপর বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তির উপর তিন ছফ লোক নামায পড়িয়াছে, আল্লাহ্ তাহার জন্য নির্ধারিত করিয়াছেন (বেহেশত)। ইবনে মাজাহ্ ও তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
তিরমিযীর বর্ণনায় রহিয়াছে, রাবী বলেন, মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ যখন কাহারও জানাযা পড়িতে ইচ্ছা করিতেন এবং জানাযায় লোক কম বলিয়া মনে করিতেন, তাহাদিগকে তিন ভাগ করিয়া দিতেন। অতঃপর বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তির উপর তিন ছফ লোক নামায পড়িয়াছে, আল্লাহ্ তাহার জন্য নির্ধারিত করিয়াছেন (বেহেশত)। ইবনে মাজাহ্ ও তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
وَعَنْ مَالِكِ بْنِ هُبَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ فَيُصَلِّي عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ إِلَّا أَوْجَبَ» . فَكَانَ مَالِكٌ إِذَا اسْتَقَلَّ أَهْلَ الْجَنَازَةِ جَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ صُفُوفٍ لِهَذَا الْحَدِيثِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَفِي رِوَايَةِ التِّرْمِذِيِّ: قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِذَا صَلَّى الْجِنَازَة فَتَقَالَّ النَّاسَ عَلَيْهَا جَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ أَوْجَبَ» . وروى ابْن مَاجَه نَحوه
وَفِي رِوَايَةِ التِّرْمِذِيِّ: قَالَ كَانَ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ إِذَا صَلَّى الْجِنَازَة فَتَقَالَّ النَّاسَ عَلَيْهَا جَزَّأَهُمْ ثَلَاثَةَ أَجْزَاءٍ ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى عَلَيْهِ ثَلَاثَةُ صُفُوفٍ أَوْجَبَ» . وروى ابْن مَاجَه نَحوه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটির দৃষ্টিতে উলামায়ে কেরাম বলেন, জানাযার নামায সর্বনিম্ন তিন কাতারে হওয়া মুস্তাহাব। লোকসংখ্যা যদি কম হয়, তবে একেক কাতারে অন্ততপক্ষে দু'জন করে হলেও তিন কাতার বানিয়ে নেওয়া ভালো। যদিও এক বা দুই কাতারে করলেও জানাযা জায়েয হয়ে যায়।
তিন কাতারের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা মায়্যিতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এটা একটা ওয়াদা, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে শুনিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলার ওয়াদায় কোনও ব্যতিক্রম হয় না। তবে অন্যান্য হাদীছের দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট হয়ে আছে যে, এর দ্বারা বান্দার হক মাফ হয় না। কাজেই মায়্যিতের উপর যদি বান্দার কোনও হক থেকে যায়, তবে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যথায় আখিরাতে এর জন্য সে আটকা পড়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর থাকতেন। আলোচ্য হাদীছটিতেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে যে, জানাযায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম দেখলে তিনি তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে নিতেন। তিনি এর সপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় লোকসংখ্যা যদি বেশি হয় এবং কাতারের সংখ্যা তিনের বেশি হয়ে যায়, তাতে অসুবিধার কিছু নেই। বরং লোক যত বেশি হবে আর তাতে কাতার যত বেশি বাড়বে ততোই ভালো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে তিন কাতার করা মুস্তাহাব।
খ. প্রতিটি কাজে সুন্নতের অনুসরণ করার উৎসাহ রাখা উচিত।
তিন কাতারের ফযীলত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা মায়্যিতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এটা একটা ওয়াদা, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে শুনিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলার ওয়াদায় কোনও ব্যতিক্রম হয় না। তবে অন্যান্য হাদীছের দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট হয়ে আছে যে, এর দ্বারা বান্দার হক মাফ হয় না। কাজেই মায়্যিতের উপর যদি বান্দার কোনও হক থেকে যায়, তবে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা উচিত। অন্যথায় আখিরাতে এর জন্য সে আটকা পড়ে যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করতে সর্বদা বদ্ধপরিকর থাকতেন। আলোচ্য হাদীছটিতেও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত মালিক ইবন হুবায়রা রাযি. সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে যে, জানাযায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা কম দেখলে তিনি তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে নিতেন। তিনি এর সপক্ষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন। এর দ্বারা বোঝা যায় লোকসংখ্যা যদি বেশি হয় এবং কাতারের সংখ্যা তিনের বেশি হয়ে যায়, তাতে অসুবিধার কিছু নেই। বরং লোক যত বেশি হবে আর তাতে কাতার যত বেশি বাড়বে ততোই ভালো।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. জানাযার নামাযে তিন কাতার করা মুস্তাহাব।
খ. প্রতিটি কাজে সুন্নতের অনুসরণ করার উৎসাহ রাখা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
