মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫১৯
৫৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন বায়ু প্রবাহিত হইতে আরম্ভ করিত, নবী করীম (ﷺ) জানু ঠেক দিয়া বসিতেন এবং বলিতেন, “আল্লাহ্ ! ইহাকে রহমতস্বরূপ কর, আযাবস্বরূপ করিও না। আল্লাহ্ । ইহাকে বাতাসে পরিণত কর এবং ঝড়ে পরিণত করিও না।” — শাফেয়ী, বায়হাকী দাআওয়াতুল কবীরে
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَا هَبَّتْ رِيحٌ قَطُّ إِلَّا جَثَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم على رُكْبَتَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا رَحْمَةً وَلَا تَجْعَلْهَا عَذَابًا اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا رِيَاحًا وَلَا تَجْعَلْهَا رِيحًا» . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ تَعَالَى: (إِنَّا أرسلنَا عَلَيْهِم ريحًا صَرْصَرًا)

و (أرسلنَا عَلَيْهِم الرّيح الْعَقِيم)

(وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاح لَوَاقِح)

و (أَن يُرْسل الرِّيَاح مُبَشِّرَات)

رَوَاهُ الشَّافِعِي وَالْبَيْهَقِيّ فِي الدَّعْوَات الْكَبِير

হাদীসের ব্যাখ্যা:

'বায়ু’—মূলে 'রীহ্' ও 'রীয়াহ্' (ريح - رياح ) একবচন ও বহুবচন দুইটি শব্দ রহিয়াছে। আরবরা সাধারণত একবচন ‘রীহ্'কে ক্ষতির ঝড়ের জন্য এবং বহুবচন 'রীয়াহ্'কে সুখকর বাতাসের জন্য ব্যবহার করিয়া থাকে। হাদীসের শেষের দিকে ইবনে আব্বাস (রাঃ) কোরআনের চারিটি উদ্ধৃতি দ্বারা ইহা বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেনঃ (ক) আমি তাহাদের প্রতি (শাস্তিরূপে) প্রবল ‘রীহ’কে পাঠাইয়াছিলাম। (খ) আমি তাহাদের প্রতি (শাস্তিরূপে) বন্ধ্যা ‘রীহ’কে পাঠাইয়াছিলাম। (গ) আমি তাহাদের প্রতি (অনুগ্রহরূপে) গর্ভিণী 'রীয়াহ' পাঠাইয়াছিলাম। (যাহা দ্বারা গাছ গর্ভবতী হয়।) (ঘ) তিনি (আল্লাহ্) সুসংবাদবাহক ‘রীয়াহ' পাঠান। কিন্তু কোরআনে ইহার বিপরীত ব্যবহারও রহিয়াছে। এ কারণে কেহ কেহ হাদীসটিকে যয়ীফ বলিয়াছেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান