মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৪০
৪৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৪০। হযরত বুরায়দা আসলামী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) রোযার ঈদের দিনে নামাযে বাহির হইতেন না যাবৎ না কিছু খাইতেন এবং কোরবানীর ঈদে কিছু খাইতেন না যাবৎ না নামায পড়িতেন। —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
وَعَن بُرَيْدَة قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ وَلَا يَطْعَمُ يَوْمَ الْأَضْحَى حَتَّى يُصَلِّيَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه والدارمي
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোরবানীর ঈদে সকালে কিছু না খাইয়া থাকা এবং সকাল সকাল কোরবানী করিয়া আল্লাহর যেয়াফত অর্থাৎ, কোরবানীর গোশত দ্বারা খাদ্য গ্রহণ করাই আল্লাহ্ তা'যীমের নিদর্শন।
বিস্তারিতঃ
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে যাওয়া ছুন্নাত। আর ঈদুল আযহার দিন নামায থেকে ফিরে এসে খাওয়া ছুন্নাত। হযরত আনাস রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. ঈদুল ফিতরের দিনে বেজোড় সংখ্যায় খেয়ে ঈদগাহের দিকে রওনা হতেন। (বুখারী-৯০৫) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৬৮)
বিস্তারিতঃ
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে যাওয়া ছুন্নাত। আর ঈদুল আযহার দিন নামায থেকে ফিরে এসে খাওয়া ছুন্নাত। হযরত আনাস রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. ঈদুল ফিতরের দিনে বেজোড় সংখ্যায় খেয়ে ঈদগাহের দিকে রওনা হতেন। (বুখারী-৯০৫) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৬৮)
