মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩৮৫
৪৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন
১৩৮৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : জুমুআর দিন ইমামের খোতবা দানকালে যখন তুমি তোমার সঙ্গীকে বলিলে, 'চুপ কর', তখন তুমি অনর্থ কথাই বলিলে। (কারণ, ইহা তোমার চুপ থাকার বিপরীত হইল।) — মোত্তাঃ
بَابُ التَّنْظِيْفِ وَالتَّبْكِيْرِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أنصت وَالْإِمَام يخْطب فقد لغوت)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইহা হইতে বুঝা যায় যে, খোতবার সময় চুপ করিয়া থাকা ওয়াজিব এবং কথা বলা হারাম—যদিও উহা ভাল কথা হয়। এইরূপে কাযা নামায ব্যতীত সুন্নত নফল নামায পড়াও হারাম। খোবা আরম্ভ করার পূর্বে সুন্নত পড়া আরম্ভ করিলে উহা দুই রাকআতে সালাম ফিরাইয়া দিবে। তিন রাকআত পড়া হইয়া গেলে অবশ্য চারি রাকআত পূর্ণ করিবে। ইহাই ইমাম আবু হানীফা সাহেবের মত। কেননা, তাবরানীতে ইবনে ওমর প্রমুখাৎ নবী করীম (ﷺ) হইতে একটি হাদীস আছে, তিনি বলিয়াছেন, “ইমাম মিম্বরে উপবেশন করার পর যখন তোমাদের কেহ মসজিদে উপস্থিত হইবে, তখন সে না নামায পড়িবে, না কথা বলিবে যাবৎ না ইমাম অবসর গ্রহণ করে।" মোয়াত্তা মালেকে রহিয়াছে, “যখন ইমাম খোতবার জন্য বাহির হইবেন তখন না নামায পড়িবে, না কথা বলিবে।”
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ১৩৮৫ | মুসলিম বাংলা