মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩০৯
৩৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্‌তের সালাত।

মূলে 'সালাতু যোহা' বা যোহার নামায রহিয়াছে। আরবীতে বেলা বাড়াকেই 'যোহা' বলে, কিন্তু 'যোহা' এখানে সূর্যোদয়ের পর হইতে সূর্য স্থির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে বুঝান হইয়াছে। এই সময়ের মধ্যে নবী করীম (ﷺ) কিছু নফল নামায পড়িয়াছেন এবং উম্মতকেও পড়িতে নির্দেশ দিয়াছেন। ইহা কমের মধ্যে দুই রাকআত, কিন্তু চারি রাকআত পড়াই উত্তম, আর বেশীর মধ্যে বার রাকআত। ইহার নাম 'সালাতু যোহা' বা 'সালাতুল আওয়াবীন। কিন্তু সাধারণত সকালের দিকে পড়া হইলে উহাকে ‘এশরাকের নামায' এবং শেষের দিকে (১০/১১ টায়) পড়া হইলে উহাকে ‘চাশতের নামায' বলা হইয়া থাকে। মাগরিবের পরের ছয় রাকআতের নাম 'সালাতুল আওয়াবীন' বলিয়া কোন হাদীসে উল্লেখ নাই। সালাতু যোহা মোস্তাহাব এবং বহু কল্যাণের কারণ। পূর্ববর্তী নবীগণ ইহা পড়িয়াছেন এবং পীর বুযুর্গান সকলেই ইহার অনুসরণ করেন। —অনুবাদক
১৩০৯। (হযরত আলীর ভগ্নী) হযরত উম্মে হানী বিনতে আবু তালেব (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহার (উম্মে হানীর) ঘরে গেলেন এবং গোসল করিলেন। অতঃপর আট রাকআত নামায পড়িলেন। উম্মে হানী বলেন, আমি কখনও এইরূপ সংক্ষিপ্ত নামায় দেখি নাই, তবে তিনি পূর্ণ করিয়াছিলেন উহার রুকু ও সজদা। অপর বর্ণনায় আছে, উম্মে হানী বলেন, উহা যোহার সময় ছিল। —মোত্তাঃ
بَابُ صَلَاةِ الضُّحى
عَن أم هَانِئ قَالَتْ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ بَيْتَهَا يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ فَاغْتَسَلَ وَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ فَلَمْ أَرَ صَلَاةً قَطُّ أَخَفَّ مِنْهَا غَيْرَ أَنَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ. وَقَالَتْ فِي رِوَايَة أُخْرَى: وَذَلِكَ ضحى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ১৩০৯ | মুসলিম বাংলা