মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩০১
৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম
১৩০১। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী তাবেয়ী বলেন, (রমযান মাসের) এক রাতে আমি (খলীফা) হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাবের সহিত মসজিদে নববীতে পৌঁছিলাম, দেখিলাম, লোকসকল বিভিন্ন দলে বিভক্ত— কেহ একা নিজের নামায পড়িতেছে, আর কাহারও পিছনে ক্ষুদ্র একদল নামায পড়িতেছে। ইহা দেখিয়া হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, যদি ইহাদের আমি একজন ইমামের পিছনে একত্র করিয়া দেই তাহা হইলে অনেক ভাল হইবে। অতঃপর এ ব্যাপারে তিনি দৃঢ় ইচ্ছা ও পূর্ণ সঙ্কল্প গ্রহণ করেন এবং তাহাদিগকে হযরত উবাই ইবনে কা'ব সাহাবীর পিছনে একত্রিত করিয়া দেন।
আব্দুর রহমান বলেন, অতঃপর আমি আরেক দিন তাঁহার সহিত মসজিদে গেলাম, দেখিলাম, লোকসকল তাহাদের ইমামের পিছনে নামায পড়িতেছেন। ইহা দেখিয়া হযরত ওমর (রাঃ) বলিলেন, ইহা কী উত্তম বেদআত (নূতন আবিষ্কার)। তৎপর তিনি বলিলেন, লোকসকল! তোমরা যে সময় ঘুমাইয়া থাক সে সময়টি হইতেছে ঐ সময় হইতে উত্তম, যাহাতে তোমরা নামায পড়িয়া থাক। (আব্দুর রহমান বলেন,) উত্তম সময়' অর্থে তিনি শেষ রাত্রিকেই বুঝাইয়াছেন; কেননা, তখন লোক প্রথম রাত্রিতেই এই তারাবী পড়িত। — বোখারী
عَن عبد الرَّحْمَن بن عبد الْقَارِي قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لَيْلَةً فِي رَمَضَان إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلَاتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عمر: إِنِّي أرى لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلَاءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ ثُمَّ عَزَمَ فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْب ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاة قارئهم. قَالَ عمر رَضِي الله عَنهُ: نعم الْبِدْعَةُ هَذِهِ وَالَّتِي تَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي تَقُومُونَ. يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يقومُونَ أَوله. رَوَاهُ البُخَارِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত ওমর (রাঃ) প্রত্যহ নিয়মিতভাবে তারাবী জামাআতে পড়াকেই বেদআত বা নূতন সৃষ্টি বলিয়াছেন। অন্যথায় স্বয়ং হুযূর (ﷺ) যে কয়দিন ইহা জামাআতে পড়িয়াছেন তাহা পূর্বেই বলা হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান