মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৩০০
৩৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০০। হযরত যায়দ ইবনে সাবেত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কাহারও আপন ঘরে (নফল) নামায পড়া আমার এই মসজিদে নামায পড়া অপেক্ষাও উত্তম — অবশ্য ফরয নামায ব্যতীত। – আবু দাউদ ও তিরমিযী
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ فِي مَسْجِدِي هَذَا إِلَّا الْمَكْتُوبَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ বিষয়ের সমস্ত হাদীস আলোচনা করিয়া ইমাম মালেক ও আবু ইউসুফ (রঃ) প্রমুখ ইমামগণ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছিয়াছেন যে, তারাবীর নামায একা একা ঘরে পড়াই উত্তম জামাআতে পড়া জায়েয। শুধু এই কথা দেখাইবার উদ্দেশ্যেই হুযূর (ﷺ) কয়েক রাত্রি জামাআতে পড়িয়াছেন। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা ও শাফেয়ী প্রমুখ ইমামগণ জামাআতে পড়াকেই উত্তম বলেন। হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবীগণও ইহাই বুঝিয়াছিলেন। তাই তাঁহারা ইহার জন্য জামাআতের ব্যবস্থা করিয়াছেন। ইহাতে আলস্যের কারণে তারাবী ফউত হইবার আশঙ্কা থাকে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান