মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৯৯
৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত
১১৯৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসকল সামঞ্জস্যপূর্ণ সূরাকে (তাহাজ্জুদে ) এক সঙ্গে পাঠ করিতেন, সেসকল সূরা আমার জানা আছে।

পরবর্তী রাবী বলেন, অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ নিজের সন্নিবেশীত কোরআন হইতে মোফাসসাল সূরাসমূহের প্রথম হইতে আরম্ভ করিয়া বিশটি সূরার নাম উল্লেখ করিলেন, যাহাদের দুই দুইটি হুযুর (ﷺ) এক সঙ্গে পাঠ করিতেন। এই বিশটি সুরার শেষ দুই সুরা হইল সূরা হা-মীমুদ্দুখান ও সূরা আম্মা ইয়াতাসাআলুন। – মোত্তাঃ
بَابُ صَلَاةِ اللَّيْلِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرِنُ بَيْنَهُنَّ فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنْ أَوَّلِ الْمُفَصَّلِ عَلَى تَأْلِيفِ ابْنِ مَسْعُودٍ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ آخِرُهُنَّ (حم الدُّخان)

و (عَم يتساءلون)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

(ক) সূরা হুজুরাত হইতে কোরআনের শেষ পর্যন্ত সূরাসমূহকে মোফাসসাল সূরা বলে।
(খ) দুইটি সূরার পরস্পরের মিল বিষয়গতও হইতে পারে অথবা দীর্ঘতা হ্রস্বতাগতও হইতে পারে। সম্ভবত এখানে ইহাই বুঝান হইয়াছে।
(গ) কোরআন পাকের আয়াতসমূহের তরতীব (সন্নিবেশ) ওহী দ্বারাই স্থির হইয়াছে। উহার যে আয়াত যখন নাযিল হইয়াছে তখনই হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বলিয়া দিয়াছেন উহা কোন সূরায় কোন্ আয়াতের আগে বা পরে বসিবে। তদনুসারে হুযূর (ﷺ) আপন নির্ধারিত কোরআন লিপিকারগণকে বলিয়া দিয়াছেন। এইরূপে উহার সূরাসমূহের তরতীবও ওহী দ্বারাই স্থিরীকৃত। সমস্ত উম্মতে মুহাম্মদী এ ব্যাপারে একমত। এই তরতীব অনুসারেই কোরআন পাক আমাদের মধ্যে আছে। ইহার নাম তরতীবে ওসমানী। কিন্তু হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ ও উবাই ইবনে কা'ব সাহাবী আপন আপন সুবিধার্থে অন্যরূপেও (যথা—বিষয়গতরূপে বা সূরার দীর্ঘতা হ্রস্বতাগতরূপে) উহার তরতীব দিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায়। কথিত আছে যে, হযরত আলী মোরতযা (রাঃ)-ও 'নাসেখ-মনসুখ' হিসাবে উহার এক তরতীব দিয়াছিলেন। কিন্তু এসকল তরতীবের কোনটিই প্রচলিত হয় নাই। (আশেঅ্যা)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান