মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৭৭
৩০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৭৭। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, সূর্য ঢলিয়া যাওয়ার পর যোহরের পূর্বে চারি রাকআত (নামায) সওয়াবে শেষ রাত্রির চারি রাকআত নামাযের সমান গণ্য করা হয়। সেই সময় কোন বস্তুই আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করা ছাড়া থাকে না। অতঃপর হুযূর (ইহার প্রমাণে কোরআন পাকের) এই আয়াত পাঠ করিলেনঃ (তাহারা কি আল্লাহর সৃষ্টির দিকে দৃষ্টি করে না?) যাহার ছায়াসমূহ ডানে-বামে ঢলিয়া থাকে আল্লাহর সজদায়, তাঁহার (বিধানের) প্রতি নতি স্বীকার করিয়া। —তিরমিযী; আর বায়হাকী শুআবুল ঈমানে।
عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ بَعْدَ الزَّوَالِ تُحْسَبُ بِمِثْلِهِنَّ فِي صَلَاةِ السَّحَرِ. وَمَا مِنْ شَيْءٍ إِلَّا وَهُوَ يُسَبِّحُ اللَّهَ تِلْكَ السَّاعَةَ ثُمَّ قَرَأَ: (يَتَفَيَّأُ ظِلَالُهُ عَنِ الْيَمِينِ وَالشَّمَائِلِ سُجَّدًا لَهُ وهم داخرون)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
হাদীসের ব্যাখ্যা:
‘শেষ রাতের নামায'—অর্থে এখানে তাহাজ্জুদকেই বুঝিতে হইবে। শেষ রাতে যেমন আল্লাহর বিশেষ রহমত নাযিল হইয়া থাকে তেমন সূর্য ঢলার সময়েও হইয়া থাকে। একারণে উভয়কে সমান বলা হইয়াছে।
