মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৩৯
২৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোকতাদীর কর্তব্য ও মসবুকের করণীয়
১১৩৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদ ঘোড়ায় সওয়ার হইলেন এবং তথা হইতে পড়িয়া গেলেন, যাহাতে তাহার ডান পার্শ্ব আহত হইল। অতঃপর তিনি (ফরয) নামাযসমূহের একটি নামায় বসিয়া পড়িলেন, আর আমরাও তাহার পিছনে বসিয়াই পড়িলাম। যখন তিনি সালাম ফিরাইলেন, বলিলেন: ইমাম এ জন্যই করা হয়, যাহাতে তাহার অনুসরণ করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাড়াইয়া নামায পড়িবেন, তোমরাও দাড়াইয়া পড়িবে এবং ইমাম যখন রুকু করিবেন তোমরাও সাথে সাথে রুকু করিবে। ইমাম যখন মাথা উঠাইবেন তোমরাও সাথে সাথে মাথা উঠাইবে। আর ইমাম যখন সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলিবেন, তখন (কিন্তু) তোমরা বলিবে, 'রাব্বানা লাকাল হামদ' এবং ইমাম যখন বসিয়া নামায পড়িবেন তোমরাও সকলে বসিয়াই পড়িবে।
(বোখারী বলেন, আমার শায়খ) হুমাইদী বলিয়াছেন, হুযুরের বাণী- 'ইমান যখন বসিয়া পড়িবেন তোমরাও বসিয়াই পড়িবে ইহা তাহার পূর্ব রোগকালীন বাণী। অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া নামায পড়িয়াছেন আর লোক তাহার পিছনে দাড়াইয়াই পড়িয়াছেন, অথচ তিনি তাহাদিগকে বসিয়া পড়িতে নির্দেশ দেন নাই। নিয়ম হইল এই যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর পর কার্যসমূহের শেষেরটিরই অনুসরণ করিতে হয়। (সুতরাং এখানেও দাঁড়াইয়া পড়ারই অনুসরণ করিতে হইবে।)
ইহা বোখারীর বর্ণনা। ইমাম মুসলিম 'সকলে বসিয়া পড়িবে শব্দ পর্যন্ত তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু অপর এক বর্ণনা অনুসারে তিনি শেষের দিকে এই বাক্যটি বাড়াইয়া বলিয়াছেন, (অতঃপর হুযুর বলিয়াছেন,) "আর ইমামের বিরুদ্ধাচরণ করিবে না এবং যখন ইমাম সিজদা করেন তোমরাও সিজদা করিবে।"
(বোখারী বলেন, আমার শায়খ) হুমাইদী বলিয়াছেন, হুযুরের বাণী- 'ইমান যখন বসিয়া পড়িবেন তোমরাও বসিয়াই পড়িবে ইহা তাহার পূর্ব রোগকালীন বাণী। অতঃপর নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসিয়া নামায পড়িয়াছেন আর লোক তাহার পিছনে দাড়াইয়াই পড়িয়াছেন, অথচ তিনি তাহাদিগকে বসিয়া পড়িতে নির্দেশ দেন নাই। নিয়ম হইল এই যে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর পর কার্যসমূহের শেষেরটিরই অনুসরণ করিতে হয়। (সুতরাং এখানেও দাঁড়াইয়া পড়ারই অনুসরণ করিতে হইবে।)
ইহা বোখারীর বর্ণনা। ইমাম মুসলিম 'সকলে বসিয়া পড়িবে শব্দ পর্যন্ত তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। কিন্তু অপর এক বর্ণনা অনুসারে তিনি শেষের দিকে এই বাক্যটি বাড়াইয়া বলিয়াছেন, (অতঃপর হুযুর বলিয়াছেন,) "আর ইমামের বিরুদ্ধাচরণ করিবে না এবং যখন ইমাম সিজদা করেন তোমরাও সিজদা করিবে।"
بَابُ مَا عَلَى الْمَأْمُومِ مِنَ الْمُتَابَعَةِ وَحُكْمِ الْمَسْبُوْقِ
وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكِبَ فَرَسًا فَصُرِعَ عَنْهُ فَجُحِشَ شِقُّهُ الْأَيْمَنُ فَصَلَّى صَلَاةً مِنَ الصَّلَوَاتِ وَهُوَ قَاعِدٌ فَصَلَّيْنَا وَرَاءَهُ قُعُودًا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِما فصلوا قيَاما فَإِذا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا رَبنَا وَلَك الْحَمد وَإِذا صلى قَائِما فصلوا قيَاما وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ»
قَالَ الْحُمَيْدِيُّ: قَوْلُهُ: «إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا» هُوَ فِي مَرَضِهِ الْقَدِيمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامٌ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْقُعُودِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَاتَّفَقَ مُسْلِمٌ إِلَى أَجْمَعُونَ. وَزَادَ فِي رِوَايَةٍ: «فَلَا تختلفوا عَلَيْهِ وَإِذا سجد فاسجدوا»
قَالَ الْحُمَيْدِيُّ: قَوْلُهُ: «إِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا» هُوَ فِي مَرَضِهِ الْقَدِيمِ ثُمَّ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسًا وَالنَّاسُ خَلْفَهُ قِيَامٌ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالْقُعُودِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ بِالْآخِرِ فَالْآخِرِ مِنْ فِعْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَاتَّفَقَ مُسْلِمٌ إِلَى أَجْمَعُونَ. وَزَادَ فِي رِوَايَةٍ: «فَلَا تختلفوا عَلَيْهِ وَإِذا سجد فاسجدوا»
