মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১০৪২
২২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪২। হযরত আমর ইবনে আবাসা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) মদীনায় আগমন করার পর আমিও তথায় এলাম এবং তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! আমাকে নামায সম্পর্কে কিছু শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, ফজরের নামায আদায় করবে। তারপর সূর্য উদিত হওয়ার সময় নামায পড়া হতে বিরত থাকবে-যখন পর্যন্ত না তা কিছু উপরে উঠে। কেননা সূর্য উদিত হয়ে থাকে শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে। আর ঐ সময় কাফিরগণ সেটিকে সিজদাহ করে। অতঃপর কিছু নফল নামায পড়বে—যে পর্যন্ত না ছায়া বর্শা পরিমাণ সংকুচিত হয়ে যায়। কেননা ঐ সময়কার নামাযে ফিরিশতাগণ হাজির হন এবং তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর নামায হতে বিরত থাকবে। কেননা তখন দোযখকে গরম করা হয়। অতঃপর যখন ছায়া বাড়তে থাকবে তখন নামায পড়বে-যে পর্যন্ত না আছরের ওয়াক্ত হয়। ঐ সময়কার নামাযে ফিরিশতাগণ হাজির থাকেন এবং তারা সাক্ষ্য দেন। এরপর নামায হতে বিরত থাকবে যে পর্যন্ত না সূর্য সম্পূর্ণ অস্তমিত হয়। কেননা তা অস্ত যায় শয়তানের দুই শিংয়ের মাঝে। আর এই সময়টি কাফিরদের সিজদার সময়। আমর বলেন, আমি পুনরায় বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এখন আমাকে অজু সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অজুর পানি জোগাড় করতঃ কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় তারপর তা ঝেড়ে ফেলে নিশ্চয় তার মুখমণ্ডলের, মুখগহ্বরের এবং তার নাকের ভেতরের গুনাহসমূহ ঝরে যায়। এরপর যখন সে মুখমণ্ডল ধৌত করে আল্লাহর নির্দেশানুরূপ, নিশ্চয় তার মুখমণ্ডলের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায় তার শ্মশ্রুরাজির পার্শ্ব দিয়ে। অতঃপর যখন সে দু'হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে নিশ্চয় তখন তার দু'হাতের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায়, তার আঙ্গুলগুলোর নিকট দিয়ে। তারপর যখন সে তার মাথা মাসেহ করে তখন নিশ্চয় তারা মাথার গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায়, তার মাথার চুলের পাশ দিয়ে। সবশেষে যখন সে তার পদদ্বয় ধৌত করে ছোট গিরা পর্যন্ত-তখন তার পায়ের গুনাহসমূহ পানির সাথে ঝরে যায় অঙ্গুলিসমূহের পাশ দিয়ে। এরপর যদি সে নামাযে দাঁড়িয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন শুরু করে এবং তাঁর মর্যাদা বর্ণনা করে যার তিনিই অধিকারী, সাথে সাথে নিজ অন্তরকেও আল্লাহর জন্য নিবিষ্ট করে দেয়, তা হলে সে নিশ্চয় তার গুনাহ হতে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে যায় সেই দিনকার মত যেইদিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিলেন। —মুসলিম
بَابُ أَوْقَاتِ النَّهْيِ
وَعَن عَمْرو بن عبسة قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ: أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلَاةِ فَقَالَ: «صَلِّ صَلَاةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أقصر عَن الصَّلَاة حَتَّى تَطْلُعُ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطْلَعُ بَيْنَ قَرْنَيْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلَاةِ فَإِنَّ حِينَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْبَلَ الْفَيْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلَاةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَيْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يسْجد لَهَا الْكفَّار» قَالَ فَقلت يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءُ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ: «مَا مِنْكُم رجل يقرب وضوءه فيتمضمض ويستنشق فينتثر إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيِهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلَّا انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ» . رَوَاهُ مُسلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ১০৪২ | মুসলিম বাংলা