মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯১৫
১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) প্রথম দুই রাকাতের পরের বৈঠক হতে এত তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়াতেন, যেন তিনি কোন গরম পাথরের উপর বসা থাকেন। –তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ كَأَنَّهُ عَلَى الرَّضْفِ حَتَّى يَقُومَ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরিউক্ত হাদীসের আলোকে আমরা বিশ্বাস করি যে, যদি কোন ব্যক্তি তাশাহহুদের পরে অতিরিক্ত কিছু পড়ে, তাহলে পরবর্তী রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর ফরয আমল আদায়ে বিলম্ব হওয়ার কারণে সিজদায়ে সাহু করতে হবে।
حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ ، عَنْ شُعْبَةَ ، عَنِ الْحَكَمِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَن رَجُلٍ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ ؛ فَكَانَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ ، كَأَنَّهُ عَلَى الْجَمْرِ حَتَّى يَقُومَ.
হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. এমন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যিনি হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা.-এর পিছে নামায পড়েছেন, প্রথম দুই রাকাতে (বৈঠকে) হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা. এমন থাকতেন কেমন যেন গরম পাথরের উপর অর্থাৎ তাশাহুদের পরে মোটেও দেরি করতেন না। (ইবনে আবী শাইবা-৩০৩৫)
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ طَاوُسًا يَقُولُ: «لَا أَعْلَمُ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ إِلَّا التَّشَهُّدَ»
হযরত ইবরাহীম বিন মাইসারা রহ. বলেন, আমি হযরত তাউস রহ.কে বলতে শুনেছি, দুই রাকাত পরে তাশাহহুদ ব্যতীত আর কোন কিছু করণীয় আছে বলে মনে করি না। (আব্দুর রায্যাক-৩০৫৯)
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: «الْمَثْنَى الْأُولَى إِنَّمَا هُوَ لِلتَّشَهُّدِ، وَإِنَّ الْآخِرَ لِلدُّعَاءِ وَالرَّغْبَةِ، وَالْآخَرُ أَطْوَلُهُمَا»
হযরত আতা রহ. বলেন, প্রথম দু’রাকাত (-এর বৈঠক) তাশাহহুদের জন্য। আর শেষ বৈঠক আলস্নাহ’র নিকট দুআ’ এবং তাঁর প্রতি মনোনিবেসের জন্য। আর শেষ বৈঠক প্রথম বৈঠকের চেয়ে লম্বা হবে। (আব্দুর রায্াক-৩০৬০)
উপরিউক্ত আছারসমূহ থেকেও প্রমাণিত হলো যে, প্রথম বৈঠকটি শুধু তাশাহহুদের জন্য। অতএব, এ বৈঠকের পরে দেরি করা যাবে না।
حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ ، عَنْ شُعْبَةَ ، عَنِ الْحَكَمِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَن رَجُلٍ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ ؛ فَكَانَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ ، كَأَنَّهُ عَلَى الْجَمْرِ حَتَّى يَقُومَ.
হযরত ইবরাহীম নাখাঈ রহ. এমন এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন যিনি হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা.-এর পিছে নামায পড়েছেন, প্রথম দুই রাকাতে (বৈঠকে) হযরত আবু বকার ছিদ্দীক রা. এমন থাকতেন কেমন যেন গরম পাথরের উপর অর্থাৎ তাশাহুদের পরে মোটেও দেরি করতেন না। (ইবনে আবী শাইবা-৩০৩৫)
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ طَاوُسًا يَقُولُ: «لَا أَعْلَمُ بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ إِلَّا التَّشَهُّدَ»
হযরত ইবরাহীম বিন মাইসারা রহ. বলেন, আমি হযরত তাউস রহ.কে বলতে শুনেছি, দুই রাকাত পরে তাশাহহুদ ব্যতীত আর কোন কিছু করণীয় আছে বলে মনে করি না। (আব্দুর রায্যাক-৩০৫৯)
عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ قَالَ: «الْمَثْنَى الْأُولَى إِنَّمَا هُوَ لِلتَّشَهُّدِ، وَإِنَّ الْآخِرَ لِلدُّعَاءِ وَالرَّغْبَةِ، وَالْآخَرُ أَطْوَلُهُمَا»
হযরত আতা রহ. বলেন, প্রথম দু’রাকাত (-এর বৈঠক) তাশাহহুদের জন্য। আর শেষ বৈঠক আলস্নাহ’র নিকট দুআ’ এবং তাঁর প্রতি মনোনিবেসের জন্য। আর শেষ বৈঠক প্রথম বৈঠকের চেয়ে লম্বা হবে। (আব্দুর রায্াক-৩০৬০)
উপরিউক্ত আছারসমূহ থেকেও প্রমাণিত হলো যে, প্রথম বৈঠকটি শুধু তাশাহহুদের জন্য। অতএব, এ বৈঠকের পরে দেরি করা যাবে না।
