মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯১৩
১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি (সা'দ ইবনে আবু ওয়াককাছ) দুই অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, কি করছ? একটি দ্বারা, একটি দ্বারা। -তিরমিযী, নাসায়ী এবং বায়হাকী দাওয়াতে কবীরে
وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: إِنَّ رَجُلًا كَانَ يَدْعُو بِأُصْبُعَيْهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحِّدْ أَحِّدْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعَوَاتِ الْكَبِير
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)
ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
