মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৮২৯
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮২৯। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহর এবং আছরের নামাযে কত সময় কিয়াম করেন তা আমরা অনুমান করতাম। তাঁর যোহরের প্রথম দুই রাকাতে দাঁড়ানোর সময় সূরা আলিফ লাম মীম তানযীলুল সিজদাহ পড়তে যে পরিমাণ সময় লাগে আমরা সেই পরিমাণ সময় অনুমান করেছিলাম। বর্ণনাস্তরে রয়েছে প্রত্যেক রাকাতে অনুমান তিরিশ আয়াত পড়ার সময় এবং শেষ দুই রাকাতে তার অর্ধেক সময় অনুমান করেছিলাম। আর আছরের প্রথম দুই রাকাতে যোহরের শেষ দুই রাকাতের সমান সময় এবং তার শেষ দুই রাকাতে এরও অর্ধেক সময় অনুমান করছিলাম। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كُنَّا نَحْزُرُ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ قَدْرَ قِرَاءَةِ (الم تَنْزِيلُ)

السَّجْدَةِ - وَفِي رِوَايَةٍ: فِي كُلِّ رَكْعَةٍ قَدْرَ ثَلَاثِينَ آيَةً - وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الْأُخْرَيَيْنِ قَدْرَ النّصْف من ذَلِك وحزرنا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ قِيَامِهِ فِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَفِي الْأُخْرَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ. رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্‌ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৮২৯ | মুসলিম বাংলা