মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৬১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রক্তপ্রদর রোগিণী
৫৬১। হযরত হামনাহ বিনতে জাহশ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি অত্যন্ত গুরুতরভাবে ইস্তেহাজায় আক্রান্ত হয়ে পড়লাম এবং এই অবস্থা বলতে ও মাসআলা জিজ্ঞেস করতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এলাম। এসে আমি তাঁকে আমার বোন যয়নব বিনতে জাহশের গৃহে পেলাম। আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অত্যন্ত গুরুতরভাবে ইস্তেহাজায় আক্রান্ত হয়েছি। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে কি করতে বলেন? এতে আমি নামায ও রোযায় বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। জবাবে তিনি বললেন, আমি তোমাকে যথাস্থানে তুলা ব্যবহার করার উপদেশ দিচ্ছি। তাতে রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। হামনাহ বললেন, সেটি তুলা দ্বারা বন্ধ হওয়ার মতো নয়। নবী পাক (ﷺ) বললেন, তবে তুমি তুলার উপর কাপড় বেঁধে দিবে। তা যেন তুলা অপেক্ষা অধিক হয়। রাবী বলেন, আমি বললাম, রক্ত খুব বেশী নির্গত হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তা হলে তুমি বেশী কাপড় বেঁধে দিবে। হামনাহ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রক্ত ধারণাতীত। এমন কি পানির স্রোতের অনুরূপ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তা হলে আমি তোমাকে দু'টো নিৰ্দেশ দিচ্ছি। তার যেটিই তুমি কর, তোমার পক্ষে যথেষ্ট হবে। আর যদি দু'টিই করতে পার, তা হলে সেটি তুমি ভাল বুঝবে। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, (চিন্তার কারণ নেই) এ রক্ত প্রবাহ মূলতঃ শয়তানের একটি আঘাত।
তুমি ছয়দিন অথবা সাতদিনকে হায়েজ ধরবে। আসলটি আল্লাহ্ পাক জানেন। তারপর গোসল করবে। যখন তুমি মনে করবে যে, তুমি পাক ও পবিত্র হয়ে গিয়েছ, তখন তুমি (মাসের বাকী) তেইশ রাত্র-দিন অথবা চব্বিশ রাত্র-দিন নামায পড়বে, রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। আর তুমি প্রত্যেক মাসেই এরূপ করবে। যেভাবে অপর স্ত্রীলোকরা হায়েজ গণ্য করে এবং যেভাবে তোহর (পবিত্রতার দিন) গণ্য করে তাদের হায়েজের সময় ও তাদের তোহরের সময়কে।
আর যদি তুমি যোহরকে বিলম্বিত করে আছরকে এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে যোহর ও আছরকে একত্রে পড়তে পার। এভাবে মাগরিবকে বিলম্বিত করে এশাকে এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে উভয় নামাযকে একসাথে পড়তে পার তবে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে। (হামনাহ বলেন) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আর এই শেষটিই হল উভয় নির্দেশের মধ্যে আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী
তুমি ছয়দিন অথবা সাতদিনকে হায়েজ ধরবে। আসলটি আল্লাহ্ পাক জানেন। তারপর গোসল করবে। যখন তুমি মনে করবে যে, তুমি পাক ও পবিত্র হয়ে গিয়েছ, তখন তুমি (মাসের বাকী) তেইশ রাত্র-দিন অথবা চব্বিশ রাত্র-দিন নামায পড়বে, রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। আর তুমি প্রত্যেক মাসেই এরূপ করবে। যেভাবে অপর স্ত্রীলোকরা হায়েজ গণ্য করে এবং যেভাবে তোহর (পবিত্রতার দিন) গণ্য করে তাদের হায়েজের সময় ও তাদের তোহরের সময়কে।
আর যদি তুমি যোহরকে বিলম্বিত করে আছরকে এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে যোহর ও আছরকে একত্রে পড়তে পার। এভাবে মাগরিবকে বিলম্বিত করে এশাকে এগিয়ে আনতে পার এবং গোসল করে উভয় নামাযকে একসাথে পড়তে পার তবে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে। (হামনাহ বলেন) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আর এই শেষটিই হল উভয় নির্দেশের মধ্যে আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। —আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী
كتاب الطهارة
وَعَن حمْنَة بنت جحش قَالَتْ: كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا؟ قَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ. قَالَ: «أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ» . قَالَتْ: هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: «فَتَلَجَّمِي» قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ. قَالَ: «فَاتَّخِذِي ثَوْبًا» قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجَزَأَ عَنْكِ مِنَ الْآخَرِ وَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنت أعلم» فَقَالَ لَهَا:   إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ مِنْ رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ فتحيضي سِتَّة أَيَّام أَو سَبْعَة أَيَّام فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وصومي وَصلي فَإِن ذَلِك يجزئك وَكَذَلِكَ فافعلي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ مِيقَاتُ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ وَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِينَ الظُّهْرَ وتعجليين الْعَصْر فتغتسلين وتجمعين الصَّلَاتَيْنِ: الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَتُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ  . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَهَذَا أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ» . رَوَاهُ أَحْمَدَ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ