মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫৩
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব
৩৫৩। ’আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব না করে, এরপর আবার সেখানে গোসল করে অথবা উযূ করে। কারণ মানুষের অধিকাংশ ওয়াস্ওয়াসা এসব থেকেই উৎপন্ন হয়। (আবু দাউদ) কিন্তু শেষের দু’জন (তিরমিযী ও নাসায়ী), ’’এরপর সেখানে গোসল করে ও উযূ করে’’ উল্লেখ করেননি।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ أَوْ يَتَوَضَّأُ فِيهِ فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ إِلَّا أَنَّهُمَا لم يذكرَا: «ثمَّ يغْتَسل فِيهِ أويتوضأ فِيهِ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গোসলখানায় পেশাব করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৪৪) যেসকল গোসলখানায় ব্যবহৃত পানি জমে থাকে সেখানে পেশাব করলে পানির সঙ্গে পেশাব মিলিত হয়ে সম্পূর্ণ পানি নাপাক হয়ে যায়। ঐ পানির ছিটা শরীরে লাগা এবং তাতে শরীর নাপাক হওয়া খুবই স্বভাবিক ব্যাপার। আর এটাই ওয়াছওয়াছার মূল কারণ। তবে পানি জমে থাকে না এমন পাকা গোসলখানার বিধান ভিন্ন হবে।
