মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১৭
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩১৭। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ এশার নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকতেন এমন কি নিদ্রার আবেশে তাদের মস্তক নীচের দিকে ঝুঁকে পড়ত। অথচ তারপর তারা নতুন অজু না করেই নামায পড়তেন কিন্তু অজু করতেন না। -আবু দাউদ, তিরমিযী
অবশ্য তিরমিযী (রহ) “এশার নামাযের জন্য বসে বসে অপেক্ষা করতেন। এমন কি তাদের মস্তক নীচের দিকে ঝুঁকে পড়ত" এর স্থলে “নিদ্রা যেতেন" কথাটি উল্লেখ করেছেন।

* বর্ণিত এ বিষয়কে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, চিৎ, কাত বা কোনো কিছুড়ে হেলান দিয়ে না ঘুমালে, নিছক বসে বসে ঝিমানোর কারণে অজু ভঙ্গ হবে না। কেননা বসা অবস্থা ব্যতীত অন্যান্য অবস্থায় নিদ্রার কারণে শরীর অচেতন হয়ে গুহ্যদ্বার ঢিলা হয়ে যায় ফলে গুহ্যদ্বার দিয়ে বায়ু বের হলে টের পাওয়া যায় না। তবে কেউ বসে বসে হেলান দিয়ে ঘুমালেও তার অজু বিনষ্ট হয়ে যাবে। সাহাবীগণ মসজিদে কোনো কিছুর সাথে হেলান না দিয়ে বসে ঝিমাতেন, ঘুমাতেন না। তাই তাদের অজু নষ্ট হতো না।
عَن أنس قَالَ: كَانَ أَصَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُونَ الْعشَاء حَتَّى تخفق رؤوسهم ثمَّ يصلونَ وَلَا يتوضؤون. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ إِلَّا أَنه ذكرفيه: ينامون بدل: ينتظرون الْعشَاء حَتَّى تخفق رؤوسهم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৩১৭ | মুসলিম বাংলা