মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২২
৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২২। হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাযিঃ) "যখন তোমার প্রতিপালক আদম সন্তানদের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের সন্তানদিগকে বের করলেন” এই আয়াতটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ পাক তাদের একত্রিত করলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন রকম করে বানাতে ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তাদেরকে সেইভাবে আকৃতি দান করলেন এবং তাদেরকে কথা বলার শক্তি দিলেন। সুতরাং তারা কথা বলতে পারল, তারপর আল্লাহ পাক তাদের নিকট হতে অঙ্গীকার নিলেন এবং তাদেরকে নিজেদের ব্যাপারে সাক্ষী বানালেন। (জিজ্ঞেস করলেন) আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই? তারা বলল, হ্যাঁ। অতঃপর আল্লাহ পাক বললেন, আমি তোমাদের এই কথার উপর সাত আসমান এবং সাত যমিনকে সাক্ষী করছি এবং তোমাদের পিতা আদমকেও সাক্ষী করছি যেন তোমরা রোজ কিয়ামতে বলতে না পার যে, এটা আমরা জানতাম না। তোমরা জেনে রাখ যে, আমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি ছাড়া তোমাদের কোন প্রতিপালকও নেই; সুতরাং তোমরা আমার সাথে কাউকেও অংশীদার বানাবে না। অতঃপর আমি তোমাদের নিকট আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করব। তারা তোমাদেরকে আমার এই ওয়াদা অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দিবে। এছাড়া আমি তোমাদের নিকট আমার কিতাবসমূহ নাযিল করব। তখন তারা বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আপনিই আমাদের প্রতিপালক এবং আমাদের উপাস্য। আপনি ছাড়া আমাদের কোন প্রতিপালক নেই এবং আপনি ছাড়া আমাদের কোন উপাস্যও নেই। (হযরত উবাই বলেন) তারা এটা স্বীকার করল। অতঃপর হযরত আদম (আ)-কে তাদের উপর তুলে ধরা হল। তিনি সকলকে দেখতে লাগলেন। তিনি দেখলেন, তাদের মধ্যে ধনী, গরীব, সুন্দর, কুশ্রী সকল প্রকারই রয়েছে। (আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এই প্রভেদ দেখে) তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! তুমি এদের সকলকে একরূপ করলে না কেন? আল্লাহ বললেন, এই কারণে যে, এরা আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুক, আমি তাই চাই। আর তিনি তাদের মধ্যে নবী-রাসূলগণকে দেখলেন। সকলের মধ্যে তারা যেন (এক একটি) প্রদীপস্বরূপ। তাদের মধ্যে আলো ঝলমল করছে। তারা সাধারণ অঙ্গীকার ছাড়া রেসালাত ও নবুয়তের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বিশেষ অঙ্গীকারে আব্দ্ধ হলেন। এটাই আল্লাহ পাকের কালামে উল্লেখ রয়েছেঃ “আমি যখন নবী-রাসূলদের নিকট হতে তাদের বিশেষ অঙ্গীকার গ্রহণ করলাম- হতে ঈসা ইবনে মারয়ামের নিকট হতেও” পর্যন্ত।
(হযরত উবাই বলেন) ঐ সকল রূহের মধ্যে হযরত ঈসা (আ)-এর রূহও ছিল। আল্লাহ পাক তা হযরত মরিয়মের প্রতি প্রেরণ করেছেন। (পরবর্তী বর্ণনাকারী বলেন) হযরত উবাই হতে এও বর্ণিত আছে যে, ঐ রূহ হযরত মারয়ামের মুখ দিয়ে দিয়ে প্রবেশ করেছিল। -আহমদ
(হযরত উবাই বলেন) ঐ সকল রূহের মধ্যে হযরত ঈসা (আ)-এর রূহও ছিল। আল্লাহ পাক তা হযরত মরিয়মের প্রতি প্রেরণ করেছেন। (পরবর্তী বর্ণনাকারী বলেন) হযরত উবাই হতে এও বর্ণিত আছে যে, ঐ রূহ হযরত মারয়ামের মুখ দিয়ে দিয়ে প্রবেশ করেছিল। -আহমদ
باب الإيمان بالقدر - الفصل الثالث
عَن أبي بن كَعْب فِي قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ (وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي آدَمَ مِنْ ظُهُورهمْ ذرياتهم وأشهدهم على أنفسهم)
الْآيَة قَالَ جمعهم فجعلهم أرواحا ثُمَّ صَوَّرَهُمْ فَاسْتَنْطَقَهُمْ فَتَكَلَّمُوا ثُمَّ أَخَذَ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالَ فَإِنِّي أشهد عَلَيْكُم السَّمَوَات السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وَأُشْهِدُ عَلَيْكُمْ أَبَاكُمْ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَمْ نَعْلَمْ بِهَذَا اعْلَمُوا أَنَّهُ لَا إِلَهَ غَيْرِي وَلَا رَبَّ غَيْرِي فَلَا تُشْرِكُوا بِي شَيْئا وَإِنِّي سَأُرْسِلُ إِلَيْكُمْ رُسُلِي يُذَكِّرُونَكُمْ عَهْدِي وَمِيثَاقِي وَأُنْزِلُ عَلَيْكُمْ كُتُبِي قَالُوا شَهِدْنَا بِأَنَّكَ رَبُّنَا وَإِلَهُنَا لَا رب لَنَا غَيْرُكَ فَأَقَرُّوا بِذَلِكَ وَرُفِعَ عَلَيْهِمْ آدَمُ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ فَرَأَى الْغَنِيَّ وَالْفَقِيرَ وَحَسَنَ الصُّورَةِ وَدُونَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبِّ لَوْلَا سَوَّيْتَ بَيْنَ عِبَادِكَ قَالَ إِنِّي أَحْبَبْتُ أَنْ أَشْكُرَ وَرَأَى الْأَنْبِيَاءَ فِيهِمْ مِثْلَ السُّرُجِ عَلَيْهِمُ النُّورُ خُصُّوا بِمِيثَاقٍ آخَرَ فِي الرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَإِذ أَخذنَا من النَّبِيين ميثاقهم)
إِلَى قَوْله (عِيسَى ابْن مَرْيَم)
كَانَ فِي تِلْكَ الْأَرْوَاحِ فَأَرْسَلَهُ إِلَى مَرْيَمَ فَحُدِّثَ عَنْ أُبَيٍّ أَنَّهُ دَخَلَ مِنْ فِيهَا. رَوَاهُ أَحْمد
الْآيَة قَالَ جمعهم فجعلهم أرواحا ثُمَّ صَوَّرَهُمْ فَاسْتَنْطَقَهُمْ فَتَكَلَّمُوا ثُمَّ أَخَذَ عَلَيْهِمُ الْعَهْدَ وَالْمِيثَاقَ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالَ فَإِنِّي أشهد عَلَيْكُم السَّمَوَات السَّبْعَ وَالْأَرَضِينَ السَّبْعَ وَأُشْهِدُ عَلَيْكُمْ أَبَاكُمْ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَام أَنْ تَقُولُوا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَمْ نَعْلَمْ بِهَذَا اعْلَمُوا أَنَّهُ لَا إِلَهَ غَيْرِي وَلَا رَبَّ غَيْرِي فَلَا تُشْرِكُوا بِي شَيْئا وَإِنِّي سَأُرْسِلُ إِلَيْكُمْ رُسُلِي يُذَكِّرُونَكُمْ عَهْدِي وَمِيثَاقِي وَأُنْزِلُ عَلَيْكُمْ كُتُبِي قَالُوا شَهِدْنَا بِأَنَّكَ رَبُّنَا وَإِلَهُنَا لَا رب لَنَا غَيْرُكَ فَأَقَرُّوا بِذَلِكَ وَرُفِعَ عَلَيْهِمْ آدَمُ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ فَرَأَى الْغَنِيَّ وَالْفَقِيرَ وَحَسَنَ الصُّورَةِ وَدُونَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبِّ لَوْلَا سَوَّيْتَ بَيْنَ عِبَادِكَ قَالَ إِنِّي أَحْبَبْتُ أَنْ أَشْكُرَ وَرَأَى الْأَنْبِيَاءَ فِيهِمْ مِثْلَ السُّرُجِ عَلَيْهِمُ النُّورُ خُصُّوا بِمِيثَاقٍ آخَرَ فِي الرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى (وَإِذ أَخذنَا من النَّبِيين ميثاقهم)
إِلَى قَوْله (عِيسَى ابْن مَرْيَم)
كَانَ فِي تِلْكَ الْأَرْوَاحِ فَأَرْسَلَهُ إِلَى مَرْيَمَ فَحُدِّثَ عَنْ أُبَيٍّ أَنَّهُ دَخَلَ مِنْ فِيهَا. رَوَاهُ أَحْمد
