মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২- ঈমানের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯০
৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
৯০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, প্রত্যেক সন্তানই ফিতরতের* উপর ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে। তারপর তার মাতাপিতা (নিজেদের পরিবেশ দ্বারা) তাকে ইয়াহুদী বানিয়ে দেয় অথবা নাছারা বানিয়ে দেয় কিংবা অগ্নি উপাসক বানিয়ে দেয়। যেভাবে পশু পূর্ণাঙ্গ পশুই প্রসব করে, তাতে তোমরা কোন কান কর্তিত দেখতে পাও কি? (পাও না) অতঃপর মানুষ তার কান কর্তন করে, নাসিকা ছিদ্র করে তাকে বিকলাঙ্গ করে দেয়)। অতঃপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন, فِطْرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِى فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيْهَا ۚ لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ “আল্লাহর ফিতরত যার উপর তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন (তার উপর তোমরা ঠিক থাকবে)। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সোজা-সরল মজবুত ধর্ম। (বুখারী, মুসলিম)

* فطرة (ফিতরাত) এর অনেকগুলো অর্থ রয়েছে- যথাঃ (১) সুষ্ঠু বিবেক ও বুদ্ধিকে فطرة (ফিতবাত) বলে।
(২) আল্লামা কুরতুবী (রহ) বলেন- সত্য গ্রহণের শক্তিকেই فطرة (ফিতরাত) বলা হয়। যা আল্লাহ মানুষকে প্রথম থেকে প্রদান করেছেন।
بَابُ الْإِيْمَانِ بِالْقَدْرِ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ كَانَ يحدث قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلَّا يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ كَمَا تُنْتَجُ الْبَهِيمَةُ بَهِيمَةً جَمْعَاءَ هَلْ تُحِسُّونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ ثُمَّ يَقُول أَبُو هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ (فطْرَة الله الَّتِي فطر النَّاس عَلَيْهَا)

الْآيَة»
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)