আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৭- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৭
২৪৫। এক কাপড় গায়ে জড়িয়ে নামায আদায় করা ।
৩৫০। ইসমাঈল ইবনে আবু উওয়ায়স (রাহঃ) .... উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব (রাযিঃ) বলেনঃ আমি বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে দেখলাম যে, তিনি গোসল করছেন আর তাঁর মেয়ে ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁকে পর্দা করে রেখেছেন। তিনি বলেনঃ আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ এ কে? আমি উত্তর দিলামঃ আমি উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব। তিনি বললেনঃ মারহাবা, হে উম্মে হানী! গোসল করার পরে তিনি এক কাপড় জড়িয়ে আট রাকআত নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করলে তাঁকে আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সহোদর ভাই [আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)] এক লোককে হত্যা করতে চায়, অথচ আমি সে লোকটিকে আশ্রয় দিয়েছি। সে লোকটি হুবায়রার ছেলে অমুক। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে উম্মে হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমিও তাঁকে আশ্রয় দিলাম। উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেনঃ তখন ছিল চাশতের সময়।
باب الصَّلاَةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ مُلْتَحِفًا بِهِ
357 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَبَا مُرَّةَ مَوْلَى أُمِّ هَانِئٍ بِنْتِ أَبِي طَالِبٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ، تَقُولُ: ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الفَتْحِ، فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ، قَالَتْ: فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ: «مَنْ هَذِهِ» [ص:81]، فَقُلْتُ: أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: «مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ» ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ، قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ، فَلَمَّا انْصَرَفَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا قَدْ أَجَرْتُهُ، فُلاَنَ ابْنَ هُبَيْرَةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ» قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ: وَذَاكَ ضُحًى
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মক্কাবিজয়ের দিন হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন অমুসলিম এক বা দুই ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উপলক্ষ্যে। তিনি এসে দেখেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করছেন এবং হযরত ফাতিমা রাযি. একটি কাপড় দিয়ে তাঁকে আড়াল করে রেখেছেন। এটা গোসলের আদব। প্রকাশ্যে লোকচক্ষুর সামনে গোসল না করে আড়ালে করা শ্রেয়। যদি সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকে, তবে তো আড়াল করা ফরয। অন্যের সামনে সতর খোলা জায়েয নয়।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন। তিনি গোসলরত ছিলেন। এরূপ ব্যস্ততার অবস্থায় সালাম না দেওয়াই আদব। তবে বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ভিন্ন কথা। এখানে বিশেষ প্রয়োজন ছিল।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহরাম নন। তা সত্ত্বেও হযরত উম্মু হানী রাযি. সালাম দিয়েছেন। ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে গায়রে মাহরামকেও সালাম দেওয়া যায়। এখানে কোনও আশঙ্কা ছিল না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গোসলরত ব্যক্তিকে প্রয়োজনে সালাম দেওয়া যেতে পারে।
খ. লোকচক্ষুর আড়ালে গোসল করা উত্তম। অবশ্য সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকলে আড়ালেই গোসল করা জরুরি।
গ. ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে নারী গায়রে মাহরাম পুরুষকে সালাম দিতে পারে।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন। তিনি গোসলরত ছিলেন। এরূপ ব্যস্ততার অবস্থায় সালাম না দেওয়াই আদব। তবে বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ভিন্ন কথা। এখানে বিশেষ প্রয়োজন ছিল।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহরাম নন। তা সত্ত্বেও হযরত উম্মু হানী রাযি. সালাম দিয়েছেন। ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে গায়রে মাহরামকেও সালাম দেওয়া যায়। এখানে কোনও আশঙ্কা ছিল না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গোসলরত ব্যক্তিকে প্রয়োজনে সালাম দেওয়া যেতে পারে।
খ. লোকচক্ষুর আড়ালে গোসল করা উত্তম। অবশ্য সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকলে আড়ালেই গোসল করা জরুরি।
গ. ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে নারী গায়রে মাহরাম পুরুষকে সালাম দিতে পারে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: