আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
৩৪৮৯। মুসা (রাহঃ) .... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সিরিয়া গেলাম, মসজিদে দু‘রাকআত (নফল) নামায আদায় করে দুআ করলাম, হে আল্লাহ, আমাকে একজন সৎ সাথী মিলিয়ে দিন। তখন আমি একজন বৃদ্ধকে আসতে দেখলাম। তিনি ছিলেন আবু দারদা (রাযিঃ)। তিনি যখন আমার কাছে আসলেন তখন আমি বললাম, আশা করি আমার দুআ কবুল হয়েছে। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোন স্থানের বাসিন্দা? আমি বললাম, আমার ঠিকানা কুফায়। তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে নবী কারীম (ﷺ)- এর জুতা, বালিস ও উযুর পাত্র বহনকারী (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)) কি বিদ্যমান নেই?
তোমাদের মাঝে ঐ ব্যক্তি কি নেই, যাকে শয়তান থেকে নিরাপদ করে দেয়া হয়েছে? (অর্থাৎ আম্মার (রাযিঃ)। তোমাদের মাঝে কি গোপন তথ্যভিজ্ঞ ব্যক্তিটি (হুযাইফা (রাযিঃ)) নেই, যিনি ব্যতীত এসব গোপন রহস্য অন্য কেউ জানে না। (আমি বললাম, আছেন) তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) وَاللَّيْلِ কিভাবে পড়েন? আমি পড়লাম, وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ‘ وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى ‘ وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى এভাবে পড়েন। তিনি বললেন, নবী কারীম (ﷺ) আমাকে সূরাটি সরাসরি এভাবে পড়তে শিখিয়েছেন। কিন্তু এসব লোক বার বার বলে আমাকে এ থেকে বিচ্যুতি ঘটানোর উপক্রম করেছে।

তাহকীক:
তাহকীক নিষ্প্রয়োজন