আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ১১৫১
৫৪১. মজলিস-প্রধানের কাছে লোক ডিঙ্গাইয়া যাওয়া
১১৫১. হযরত ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, হযরত উঁর (রাযিঃ) যখন আহত হন, তখন তাঁহাকে বহনকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমরা তাঁহাকে ঘরে পৌছাইলাম। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ ভ্রাতুষ্পুত্র, একটু দেখিয়ে আইস তো কে আমাকে আহত করিল এবং আমার সাথে আর কাহারা আহত হইল! আমি তখন গেলাম, অতঃপর তাঁহাকে উহা জানাইতে আসিলাম। তখন ঘর লোকে লোকারণ্য। লোকের ঘাড় ডিঙ্গাইয়া আমি আগে যাইব উহা যেন আমার কাছে কেমন কেমন ঠেকিল? আর বয়সেও আমি তখন নবীন। অগত্যা আমি বসিয়া পড়িলাম। তিনি সাধারণত কাহাকেও কোন কাজে পাঠাইলে ফিরিয়া আসিয়া তাঁহাকে উহা জানাইতে বলিতেন। তখন তিনি কাঁথা মুড়ি দেওয়া অবস্থায় ছিলেন। এমন সময় হযরত কা'ব (রাযিঃ) আসিলেন এবং বলিলেনঃ দোহাই আল্লাহ্র, আমীরুল মু'মিনের উচিত দু'আ করা যেন আল্লাহ্ তাঁহাকে আরপ দীর্ঘকাল জীবিত রাখেন এবং রি উম্মাতের স্বার্থেই তাঁহাকে উচ্চতর মর্যাদায় অভিসিক্ত করেন, যাহাতে উম্মতের অমুক অমুক কাজ তিনি করিয়া যাইতে পারেন। বলিতে বলিতে তিনি এই প্রসঙ্গে কোন কোন মুনাফিক ব্যাক্তির নাম যদিও নিলেন এবং কাহারও কাহারও কথা ইশারা ইঙ্গিতে বলিলেন। আমি বলিলামঃ এইসব কথা কী আমি তাঁহার কানে তুলিব? তিনি বলিলেনঃ তাঁহার কানে তুলিবার উদ্দেশ্যেই তো আমি এইসব বলিতেছি। তখন আমি সাহসে ভর করিয়া উঠিলাম এবং লোকের ঘাড় ডিঙ্গাইয়া একেবারে তাঁহার শিয়রে গিয়া বসিলাম। আমি তখন বলিতে লাগিলামঃ (আমীরুল মু'মিনীন) আপনি আমাকে অমুক দায়িত্ব দিয়া পাঠাইছিলেন। আপনার সাথে আরও তের ব্যাক্তি আহত হইয়াছেন এবং হযরত কুলায়ব আল-জায়যারও আহত হইয়াছেন, তিনি তখন উখলির পাশে বসিয়া ওযূ করিতেছিলেন। আর হযরত কা'ব আল্লাহ্র কসম করিয়া অমুক অমুক কথা বলিতেছেন। তখন তিনি বলিলেনঃ আচ্ছা, ক'আবকে ডাক দেখি! তখন তাঁহাকে ডাকা হইল। তিনি আসিতেই জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কী বল? তিনি বলেন, আমি অমুক অমুক কথা বলি। তিনি বলিলেন, না, আল্লাহ্র কসম, আমি এরূপ দু'আ করিব না। বরং উমরকে যদি আল্লাহ্ ক্ষমা না করেন, তবে তাহার দুর্ভাগ্যের সীমা থাকিবে না। [অর্থাৎ ে পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে যত ত্রুটি হইয়াছে, উহাই আল্লাহ্ ক্ষমা না করিলে আমার দুর্ভাগ্যের সীমা থাকিবে না। আরো জীবিত থাকার দু'আ করিয়া নিজের উপর আর বর্ধিত দায়িত্ব ঘাড়ে লইতে চাই না।]
بَابُ يَتَخَطَّى إِلَى صَاحِبِ الْمَجْلِسِ
حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: حَدَّثَنَا النَّضْرُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَامِرٍ الْمُزَنِيُّ هُوَ صَالِحُ بْنُ رُسْتُمَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا طُعِنَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كُنْتُ فِيمَنْ حَمَلَهُ حَتَّى أَدْخَلْنَاهُ الدَّارَ، فَقَالَ لِي: يَا ابْنَ أَخِي، اذْهَبْ فَانْظُرْ مَنْ أَصَابَنِي، وَمَنْ أَصَابَ مَعِي، فَذَهَبْتُ فَجِئْتُ لِأُخْبِرُهُ، فَإِذَا الْبَيْتُ مَلْآنُ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَتَخَطَّى رِقَابَهُمْ، وَكُنْتُ حَدِيثَ السِّنِّ، فَجَلَسْتُ، وَكَانَ يَأْمُرُ إِذَا أَرْسَلَ أَحَدًا بِالْحَاجَةِ أَنْ يُخْبِرَهُ بِهَا، وَإِذَا هُوَ مُسَجًّى، وَجَاءَ كَعْبٌ فَقَالَ: وَاللَّهِ لَئِنْ دَعَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لَيُبْقِيَنَّهُ اللَّهُ وَلَيَرْفَعَنَّهُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ حَتَّى يَفْعَلَ فِيهَا كَذَا وَكَذَا، حَتَّى ذَكَرَ الْمُنَافِقِينَ فَسَمَّى وَكَنَّى، قُلْتُ: أُبَلِّغُهُ مَا تَقُولُ؟ قَالَ: مَا قُلْتُ إِلاَّ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ تُبَلِّغَهُ، فَتَشَجَّعْتُ فَقُمْتُ، فَتَخَطَّيْتُ رِقَابَهُمْ حَتَّى جَلَسْتُ عِنْدَ رَأْسِهِ، قُلْتُ: إِنَّكَ أَرْسَلَتْنِي بِكَذَا، وَأَصَابَ مَعَكَ كَذَا، ثَلاَثَةَ عَشَرَ، وَأَصَابَ كُلَيْبًا الْجَزَّارَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ عِنْدَ الْمِهْرَاسِ، وَإنّ َ كَعْبًا يَحْلِفُ بِاللَّهِ بِكَذَا، فَقَالَ: ادْعُوا كَعْبًا، فَدُعِيَ، فَقَالَ: مَا تَقُولُ؟ قَالَ: أَقُولُ كَذَا وَكَذَا، قَالَ: لاَ وَاللَّهِ لاَ أَدْعُو، وَلَكِنْ شَقِيٌّ عُمَرُ إِنْ لَمْ يَغْفِرِ اللَّهُ لَهُ.
