আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ১১৫০
৫৪০. দুইজনের মধ্যস্থলে বসিবে না
১১৫০. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ কোন ব্যাক্তির জন্য দুইজনের মধ্যস্থলে বসিয়া তাহাদের মধ্যে অন্তরায় সৃষ্টি করা বৈধ নহে, অবশ্য তাহাদের অনুমতি সাপেক্ষে ইহা বৈধ হবে।
بَابُ لا يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَيْنِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْفُرَاتُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ، إِلا بِإِذْنِهِمَا.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
দুই ব্যক্তি যদি পাশাপাশি থাকে, তা মসজিদ হোক বা কোনও সভা-সেমিনারে, তবে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির জন্য তাদের মাঝখানে গিয়ে বসা জায়েয নয়। কেননা হতে পারে সে দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা আছে, যেমন পিতা-পুত্র, ভাই-ভাই ইত্যাদি, কিংবা তারা দু'জন তাদের ব্যক্তিগত কোনও বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলছে, এ অবস্থায় তৃতীয় কেউ তাদের মাঝখানে গিয়ে বসলে তা তাদের জন্য বিরক্তির কারণ হবে এবং তাতে তারা কষ্ট পাবে। অহেতুক অন্যকে কষ্ট দেওয়া জায়েয নয়। হাঁ, তাদের দু'জনের মাঝখানে যদি আরেকজনের বসার মতো ফাঁকা জায়গা থাকে, তবে ভিন্ন কথা। তখন তাদের মাঝখানে তৃতীয় ব্যক্তির বসা জায়েয হবে।
দুই ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করাটা এক তো বাহ্যিকভাবে হতে পারে, যেমন পাশাপাশি বসা দু'জনকে দু'দিকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার এটা অদৃশ্যভাবেও হতে পারে। অর্থাৎ বাহ্যিক দৃষ্টিতে তো তারা পাশাপাশিই বসা থাকবে, কিন্তু কার্যত তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। যেমন দু'জন লোক পাশাপাশি বসে কথা বলছে। তারা চায় না সে কথা অন্য কেউ শুনুক। এ অবস্থায় তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে বসল। এর ফলে তারা আর সে কথা বলতে পারছে না। তার উপস্থিতির কারণে তারা পাশাপাশি থেকেও যেন একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রেও আলোচ্য হাদীছটি প্রযোজ্য। অর্থাৎ দুই ব্যক্তি যদি পরস্পর কোনও আলাপচারিতায় রত থাকে, তখন তাদের অনুমতি। ছাড়া তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে বসতে পারবে না। দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও একই কথা। মোটকথা যে আচরণ অপর মুমিন ভাইয়ের জন্য বিরক্তিকর বা কষ্টদায়ক। হয়, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। দুই ব্যক্তির মাঝখানে বসে যাওয়া বা আলাপচারিতায় রত দুই ব্যক্তির কাছে গিয়ে বসা এরকমই আচরণ। এ হাদীছে এরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অনুমতি ছাড়া পাশাপাশি বসে থাকা দুই ব্যক্তির মাঝখানে বসতে নেই।
খ. অনুমতি ছাড়া আলাপচারিতায় রত দুই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ দেওয়া যাবে না।
গ. যে আচরণ অন্যের পক্ষে বিরক্তিকর বা কষ্টদায়ক, তা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
দুই ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করাটা এক তো বাহ্যিকভাবে হতে পারে, যেমন পাশাপাশি বসা দু'জনকে দু'দিকে সরিয়ে দেওয়া হল। আবার এটা অদৃশ্যভাবেও হতে পারে। অর্থাৎ বাহ্যিক দৃষ্টিতে তো তারা পাশাপাশিই বসা থাকবে, কিন্তু কার্যত তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। যেমন দু'জন লোক পাশাপাশি বসে কথা বলছে। তারা চায় না সে কথা অন্য কেউ শুনুক। এ অবস্থায় তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে বসল। এর ফলে তারা আর সে কথা বলতে পারছে না। তার উপস্থিতির কারণে তারা পাশাপাশি থেকেও যেন একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। এ ক্ষেত্রেও আলোচ্য হাদীছটি প্রযোজ্য। অর্থাৎ দুই ব্যক্তি যদি পরস্পর কোনও আলাপচারিতায় রত থাকে, তখন তাদের অনুমতি। ছাড়া তৃতীয় কোনও ব্যক্তি তাদের কাছে গিয়ে বসতে পারবে না। দাঁড়ানোর ক্ষেত্রেও একই কথা। মোটকথা যে আচরণ অপর মুমিন ভাইয়ের জন্য বিরক্তিকর বা কষ্টদায়ক। হয়, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। দুই ব্যক্তির মাঝখানে বসে যাওয়া বা আলাপচারিতায় রত দুই ব্যক্তির কাছে গিয়ে বসা এরকমই আচরণ। এ হাদীছে এরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অনুমতি ছাড়া পাশাপাশি বসে থাকা দুই ব্যক্তির মাঝখানে বসতে নেই।
খ. অনুমতি ছাড়া আলাপচারিতায় রত দুই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ দেওয়া যাবে না।
গ. যে আচরণ অন্যের পক্ষে বিরক্তিকর বা কষ্টদায়ক, তা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
