আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৩৫
২০৯৭. উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) এর আলোচনা
৩৪৬৭। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন নবী (ﷺ) তাঁকে এবং হাসান (রাযিঃ) কে এক সাথে (কোলে) তুলে নিতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! তুমি এদের ভালবাস। আমিও এদেরকে ভালবাসি। মু’আইয (রাহঃ) উসামা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম (হারামালা) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন সে আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিল। তখন (উসামা (রাযিঃ) এর বৈপত্রিয়) ভাই হাজ্জাজ ইবনে আয়মান (মসজিদে) প্রবেশ করল, এবং নামায রুকু ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেনি। ইবনে উমর (রাযিঃ) তাকে বললেন, নামায পুনরায় আদায় কর। যখন সে চলে গেল তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এ ব্যক্তি কে? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবনে আয়মন ইবনে উম্মে আয়মন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যদি তাকে দেখতেন তবে স্নেহ্ন করতেন।

তারপর এ পরিবারের প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কত ভালবাসা ছিল তা বর্ণনা করতে লাগালেন এবং উম্মে আয়মানের সন্তানদের কথাও বললেন। আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন আমার কোন কোন সাথী আরো বলেছেন যে উম্মে আয়মন (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে শিশুকালে কোলে নিয়েছেন। হাজ্জাজ ইবনে আয়মন ইবনে উম্মে আয়মন (রাহঃ) আর আয়মান ছিলেন উসামা (রাহঃ) এ বৈপিত্রীয় ভাই হাজ্জাজ হলেন এক আনসারী ব্যক্তি। ইবনে উমর (রাযিঃ) তাকে দেখলেন যে নামায রুকু সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করছেন না। তখন তিনি তাকে বললেন, পুনরায় নামায আদায় কর। আবু আব্দুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন সুলাইমান ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ......... হারামালা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ছিলেন নবী (ﷺ) এর ধাত্রী।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন