আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ

হাদীস নং: ১০৩২
৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩২. যুহরী (রাহঃ) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ বলিয়াছেনঃ খলীফা হিসাবে মু’আবিয়া (রাযিঃ) যখন প্রথমবার হজ্জ করিতে আসিলেন তখন উসমান ইব্‌ন হানিফ আনসারী (রাযিঃ) তাঁহার নিকট আসিলেন এবং বলিলেনঃ আস্‌সালামু আলাইকুম আইয়্যুহাল আমীর ওয়া রাহমাতুল্লাহ্‌--হে আমীর! আপনার প্রতি সালাম ও আল্লাহ্‌র রহমত বর্ষিত হউক। সিরিয়াবাসীরা (অর্থাৎ হযরত মু’আবিয়ার সঙ্গীপদগণের উহা অত্যন্ত অপছন্দ হইল। তাহারা বলিল, কে এই মুনাফিক যে আমীরুল মুমিনীনের প্রতি অভিবাদনটাকে খাটো করিতেছে? তখন উসমান তাহার দুই জানুর উপর ঠিক হইয়া বসিলেন এবং বলিলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! উহারা এমন একটি ব্যাপারকে অপসন্দ করিল যাহা তাঁহাদের চাইতে আপনার সম্যকভাবেই জানা আছে। কসম আল্লাহ্‌র এই সম্বোধনে আমি হযরত আবু বকর, উমর ও উসমান (রাযিঃ)-কে সম্বোধন করিয়াছি, তাহাদের মধ্যকার একজনও উহাতে অসন্তুষ্ট হন নাই বা অপসন্দ করেন নাই। তখন মু’আবিয়া (রাযিঃ) সিরিয়াবাসীদের মধ্য হইতে যে কথা বলিয়াছিল তাহাকে বলিলেনঃ ওহে চুপ কর, সে যাহা বলিতেছে ব্যাপার অনেকটা তাই। কিন্তু সিরিয়াবাসীরা যখন সাম্প্রতিক গোলযোগ ঘটে তখন নিজেদের মধ্যে বলাবলি (করিয়া স্থির) করে যে, আমাদের খলীফার প্রতি অভিবাদনকে আর খাটো করিতে দিব না। হে মদীনাবাসীরা! আমি তোমাদের স্মরণ করাইয়া দিতে চাই। তোমরা যাকাত আদায়কারীদিগকেও তো হে আমীর, বলিয়া সম্বোধন করিয়া থাক! (সুতরাং কেবল যাকাত আদায়কারীদিগকেই হে আমীর বলিয়া সম্বোধন করিবে, আর আমীরুল মুমিনীন বা খলীফাকে তাঁহার পূর্ণ পদবী ব্যবহার করিয়া সম্ভ্রমের সহিত আমীরুল মুমিনীন বলিয়া সম্বোধন করিবে। তাহা হইলে উভয় সম্বোধনের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট পার্থক্য বর্তমান থাকিবে। কোনরূপ বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ থাকিবে না, কেহ আনুগত্যের ব্যাপারেও সন্দেহ করিবে না।)
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ‏:‏ قَدِمَ مُعَاوِيَةُ حَاجًّا حَجَّتَهُ الأُولَى وَهُوَ خَلِيفَةٌ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ‏:‏ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا الأَمِيرُ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَأَنْكَرَهَا أَهْلُ الشَّامِ وَقَالُوا‏:‏ مَنْ هَذَا الْمُنَافِقُ الَّذِي يُقَصِّرُ بِتَحِيَّةِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ‏؟‏ فَبَرَكَ عُثْمَانُ عَلَى رُكْبَتِهِ ثُمَّ قَالَ‏:‏ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ هَؤُلاَءِ أَنْكَرُوا عَلَيَّ أَمْرًا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنْهُمْ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ حَيَّيْتُ بِهَا أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ، فَمَا أَنْكَرَهُ مِنْهُمْ أَحَدٌ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِمَنْ تَكَلَّمَ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ‏:‏ عَلَى رِسْلِكُمْ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ بَعْضُ مَا يَقُولُ، وَلَكِنَّ أَهْلَ الشَّامِ قَدْ حَدَثَتْ هَذِهِ الْفِتَنُ، قَالُوا‏:‏ لاَ تُقَصَّرُ عِنْدَنَا تَحِيَّةُ خَلِيفَتِنَا، فَإِنِّي إِخَالُكُمْ يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ تَقُولُونَ لِعَامِلِ الصَّدَقَةِ‏:‏ أَيُّهَا الأمِيرُ‏.‏
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আল-আদাবুল মুফরাদ - হাদীস নং ১০৩২ | মুসলিম বাংলা