আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ১০৩১
৪৭১- আমীরকে সালাম দেয়া।
১০৩১. ইব্ন শিহাব বলেন, একদা হযরত উমর ইব্ন আব্দুল আযীয (রাহঃ) সুলায়মান ইব্ন আবু হাসমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন সেখানে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) পত্রে শিরোনামা লিখিতেন আবু বকর খলীফায়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর পক্ষ হইতে। অতঃপর উমর (রাযিঃ) লিখিতেন উমর ইবনুল খাত্তাব হযরত আবু বকরের খলীফার (প্রতিনিধির) পক্ষ হইতে সেখানে আমীরুল মুমিনীন’ শব্দটি লেখার প্রচলন প্রথম কে করিল? তখন তিনি জবাব দিলেন, আমার পিতামহী শিক্ষা দিলেন প্রথম যুগের মুহাজির মহিলাগণের একজন এবং হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বাজারে গেলেই যাহার সহিত অবশ্যই সাক্ষাৎ করিতেন। তিনি আমার নিকট বর্ণনা করিয়াছেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) ইরাকের শাসনকর্তাকে লিখিয়া পাঠাইলেন আমার নিকট দুইজন বিজ্ঞ ও সম্ভ্রান্ত লোক পাঠাও যাহাদিগকে আমি ইরাক ও তাহার অধিবাসীদের সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করিব। ইরাকের শাসনকর্তা তখন লাবীদ ইব্ন রাবীয়া এবং আদী ইব্ন হাতিম (তাঈ)-কে তাঁহার খেদমতে পাঠাইলেন। তাঁহারা মদীনায় উপনীত হইলেন এবং তাহাদের বাহনদ্বয়কে মসজিদ প্রাঙ্গনে আসিয়া থামাইলেন। অতঃপর তাহারা মসজিদে প্রবেশ করিয়াই আমর ইব্ন আ’স (রাযিঃ)-কে সম্মুখে পাইলেন। তখন তাঁহারা তাঁহাকেই বলিলেনঃ হে আম্র আমীরুল মু’মিনীন! উমরের নিকট হইতে আমাদিগকে তাঁহার খেদমতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি লইয়া দেন। আম্র তখন হযরত উমরের কাছে ছুটিয়া গেলেন এবং বলিলেনঃ আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আমীরুল মুমিনীন! তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বলিলেন, এ পদবী কোথা হইতে জুটাইলে হে ইব্ন আস? তুমি যাহা বলিয়াছ তাহা প্রত্যাহার কর! তিনি বলিলেনঃ জ্বী, লাবীদ ইব্ন রাবীয়া এবং আদী ইব্ন হাতিম আগমন করিয়াছেন এবং তাঁহারা আমাকে বলিয়াছেনঃ আমীরুল মু’মিনীনের নিকট হইতে আমাদের জন্য অনুমতি লইয়া দিন! তখন আমি বলিলাম, কসম আল্লাহ্র তোমরা দুইজনে তাঁহার যথার্থ নামকরণ করিয়াছ, তিনি আমীর আর আমরা মু’মিনূন। সেদিন হইতেই উহা লেখার প্রচলন হয়।
بَابُ التَّسْلِيمِ عَلَى الأَمِيرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ سَأَلَ أَبَا بَكْرِ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ: لِمَ كَانَ أَبُو بَكْرٍ يَكْتُبُ: مِنْ أَبِي بَكْرٍ خَلِيفَةِ رَسُولِ اللهِ، ثُمَّ كَانَ عُمَرُ يَكْتُبُ بَعْدَهُ: مِنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ خَلِيفَةِ أَبِي بَكْرٍ، مَنْ أَوَّلُ مَنْ كَتَبَ: أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: حَدَّثَتْنِي جَدَّتِي الشِّفَاءُ، وَكَانَتْ مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِذَا هُوَ دَخَلَ السُّوقَ دَخَلَ عَلَيْهَا، قَالَتْ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى عَامِلِ الْعِرَاقَيْنِ: أَنِ ابْعَثْ إِلَيَّ بِرَجُلَيْنِ جَلْدَيْنِ نَبِيلَيْنِ، أَسْأَلُهُمَا عَنِ الْعِرَاقِ وَأَهْلِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ صَاحِبُ الْعِرَاقَيْنِ بِلَبِيدِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، فَقَدِمَا الْمَدِينَةَ فَأَنَاخَا رَاحِلَتَيْهِمَا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ دَخَلاَ الْمَسْجِدَ فَوَجَدَا عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ، فَقَالاَ لَهُ: يَا عَمْرُو، اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ، فَوَثَبَ عَمْرٌو فَدَخَلَ عَلَى عُمَرَ فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: مَا بَدَا لَكَ فِي هَذَا الِاسْمِ يَا ابْنَ الْعَاصِ؟ لَتَخْرُجَنَّ مِمَّا قُلْتَ، قَالَ: نَعَمْ، قَدِمَ لَبِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَعَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ، فَقَالاَ لِي: اسْتَأْذِنْ لَنَا عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَقُلْتُ: أَنْتُمَا وَاللَّهِ أَصَبْتُمَا اسْمَهُ، وَإِنَّهُ الأَمِيرُ، وَنَحْنُ الْمُؤْمِنُونَ. فَجَرَى الْكِتَابُ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ.
