আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৯১৬
৪০৮. লোকজন মেঘমালা দর্শনে কি বলিবে?
৯১৬. হযরত আব্দুল্লাহ্ (ইব্ন মাসউদ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ অশুভ লক্ষণে বিশ্বাস করা শিরক ইহা আমাদের অর্থাৎ মু’মিনদের কাজ নহে। বরং আল্লাহ্ উহার কূপ্রভাবকে তাওয়াক্কুল বা আল্লাহ্ই নির্ভরতার দ্বারা দূর করিয়া দেন। ১
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، وَمَا مِنَّا، وَلَكِنَّ اللَّهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّلِ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. দুইটি অসঙ্গতি এই শিরোনামের অধীনে বর্ণিত হাদীসদ্বয় পরিলক্ষিত হইতেছে। ১. হাদীসদ্বয়ে বৃষ্টির সময় পড়িতে হইবে এমন কোন দু’আর উল্লেখ নাই অথচ মেঘমালা দর্শনে কি পড়িবে, শিরোনাম ব্যবহার করা হইয়াছে। বরং হওয়া উচিৎ ছিল মেঘমালা দর্শনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করিতেন? অথবা মেঘমালা দর্শনে কি করিবে? ২. অশুভ লক্ষণ ধরা সংক্রান্ত হাদীসখানা সম্ভবত পরবর্তী শিরোনামার অধীনে ছিল, হয়ত বা ভুলে, এই শিরোনামায় লিখিত হইয়াছে, কিন্তু অনুবাদে মূলের পূর্ণ অনুসরণ করা হইতেছে বলিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবেই উহাকে এইভাবে রাখিয়া দেওয়া হইল।
২. অর্থাৎ উত্তম কোন শব্দ বা কথাকে শুভ লক্ষণ রূপে-ধরিয়া নিতে আপত্তি নাই। কিন্তু অশুভ লক্ষণ ধরিয়া অযথা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া অনুচিত।
২. অর্থাৎ উত্তম কোন শব্দ বা কথাকে শুভ লক্ষণ রূপে-ধরিয়া নিতে আপত্তি নাই। কিন্তু অশুভ লক্ষণ ধরিয়া অযথা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া অনুচিত।
