আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৪৯৬
২২৬. রোগীর রোগ-যাতনা তাহার গুনাহের কাফ্ফারা স্বরূপ ।
৪৯৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, জনৈক বেদুঈন নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হইল। তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কি কোন দিন জ্বর হইয়াছে ? সে জিজ্ঞাসা করিল যে, জ্বর কি বস্তু? বলিলেনঃ শরীরের চর্ম ও মাংসের মধ্যবর্তী স্থানে উত্তাপ। সে ব্যক্তি বলিল, না। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কি কোন দিন মাথাধরা হইয়াছে ? সে ব্যক্তি এবারও বলিল, মাথাধরা আবার কাহাকে বলে ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ একটি বায়ু যাহা মাথায় অনুভূত হয় এবং উহা শিরাসমূহে আঘাত করে। সে ব্যক্তি এবারও বলিল, না। অতঃপর সে ব্যক্তি যখন প্রস্থান করিল, তখন তিনি বলিলেনঃ যে কেহ কোন দোযখী ব্যক্তিকে দেখিতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিটিকে দেখিয়া লয়।১
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " جَاءَ أَعْرَابِيٌّ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هَلْ أَخَذَتْكَ أُمُّ مِلْدَمٍ ؟ قَالَ : وَمَا أُمُّ مِلْدَمٍ ؟ قَالَ : حَرٌّ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَهَلْ صُدِعْتَ ؟ قَالَ : وَمَا الصُّدَاعُ ؟ قَالَ : رِيحٌ تَعْتَرِضُ فِي الرَّأْسِ ، تَضْرِبُ الْعُرُوقَ ، قَالَ : لا ، قَالَ : فَلَمَّا قَامَ ، قَالَ : مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ ، أَيْ : فَلْيَنْظُرْهُ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
১. অর্থাৎ মু’মিন এই সংসারে রোগ-শোকে ভুগিয়া থাকে এবং ফলে তাহার গুনাহ রাশির কাফ্ফারা হইতে থাকে। যে ব্যক্তিকে কোন দিন সামান্য একটু জ্বর বা মাথাধরা পর্যন্ত স্পর্শ করিল না। তাহারা তো ইহকালে গুনাহ মাফির কোন ব্যবস্থাই হইল না। সুতরাং তাহার গুনাহের কাফ্ফারা পরকালে জাহান্নামেই হইবে। সম্ভবত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহী বা ইলহাম মারফত ঐ ব্যক্তিটির জাহান্নামী হওয়ার কথা জানিয়া লইয়াছিলেন, নতুবা সে জাহান্নামী এমন কথা নিশ্চিতভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেন না ।
