আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
হাদীস নং: ৪৯০
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৯০। আবুয্ যোহা বর্ণনা করেন, একদা মসজিদে হযরত মাসরূক ও শাতী ইব্ন শাক্ল একত্রিত হইলেন। মসজিদে উপস্থিত লোকজন তাঁহাদিগকে ঘিরিয়া বসিল। তখন হযরত মাসরূক (রাহঃ) বলিলেন, লোকজন আমাদের মুখে কিছু ধর্মোপদেশ শুনিতেই আমাদিগকে ঘিরিয়া বসিয়াছে। এখন আপনি যদি হযরত আব্দুল্লাহ্ সূত্রে (হাদীস) বর্ণনা করেন তবে আমি উহা অনুমোদন করিব আর যদি আমি হযরত আব্দুল্লাহর সূত্রে বর্ণনা করি আপনি উহা অনুমোদন করিবেন। অপরজন বলিলেন, আপনিই বর্ণনা করুন হে আবু আয়েশা! তখন তিনি বলিলেনঃ আপনি কি হযরত আব্দুল্লাহ্কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছেন যে, চক্ষুদ্বয় যিনায় (ব্যভিচারে) লিপ্ত হয়। হস্তদ্বয় যিনায় লিপ্ত হয়, পদদ্বয় যিনায় লিপ্ত হয় এবং লজ্জাস্থান তাহাকে সত্য অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। অপরজন বলিলেন, হ্যাঁ আমিও উহা শুনিয়াছি। অতঃপর তিনি বলিলেন, আচ্ছা আপনি আব্দুল্লাহ্কে বলিতে শুনিয়াছেন, নিম্নোক্ত আয়াতের মত আল-কুরআনের আর কোন আয়াতে একই সঙ্গে হালাল-হারাম ও আদেশ-নিষেধ সন্নিবেশীত হয় নাই : “আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন।” (১৬: ৯০) তিনি তাঁকে ঐ কথা বলিতে শুনিয়াছে। তিনি পুনরায় বলিলেন, আপনি কি আব্দুল্লাহ্কে বলিতে শুনিয়াছেন, আল-কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের চেয়ে দ্রুত অভাব মোচনকারী ও বিপদমুক্তির অন্য কোন আয়াত নাইঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে ভয় করে তিনি তাহার জন্য মুক্তির একটি ব্যবস্থা করিয়া দেন” (৬৫: ২)? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, আমিও ইহা শুনিয়াছি। পুনরায় তিনি (মাসরূক) বলিলেন, আপনি কি আব্দুল্লাহ্কে বলিতে শুনিয়াছেন? আল-কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের চেয়ে অধিক আবেদনময়ী বা সুবিধাদানকারী অন্য কোন আয়াত নাই : “হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করিয়াছ তোমরা : আল্লাহ্র রহমত হইতে নিরাশ হইও না” (৩৯: ৫৩)। শাতীর বলেন, হ্যাঁ, আমি তাঁহাকে এই কথা বলিতে শুনিয়াছি ।
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى قَالَ: اجْتَمَعَ مَسْرُوقٌ وَشُتَيْرُ بْنُ شَكَلٍ فِي الْمَسْجِدِ، فَتَقَوَّضَ إِلَيْهِمَا حِلَقُ الْمَسْجِدِ، فَقَالَ مَسْرُوقٌ: لاَ أَرَى هَؤُلاَءِ يَجْتَمِعُونَ إِلَيْنَا إِلاَّ لِيَسْتَمِعُوا مِنَّا خَيْرًا، فَإِمَّا أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ عَبْدِ اللهِ فَأُصَدِّقَكَ أَنَا، وَإِمَّا أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ عَبْدِ اللهِ فَتُصَدِّقَنِي؟ فَقَالَ: حَدِّثْ يَا أَبَا عَائِشَةَ، قَالَ: هَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ: الْعَيْنَانِ يَزْنِيَانِ، وَالْيَدَانِ يَزْنِيَانِ، وَالرِّجْلاَنِ يَزْنِيَانِ، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَأَنَا سَمِعْتُهُ، قَالَ: فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ: مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَجْمَعَ لِحَلاَلٍ وَحَرَامٍ وَأَمْرٍ وَنَهْيٍ، مِنْ هَذِهِ الْآيَةِ: (إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى)؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَأَنَا قَدْ سَمِعْتُهُ، قَالَ: فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ: مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَسْرَعَ فَرَجًا مِنْ قَوْلِهِ: (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا)؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَأَنَا قَدْ سَمِعْتُهُ، قَالَ: فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ: مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَشَدَّ تَفْوِيضًا مِنْ قَوْلِهِ: (يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لاَ تَقْنَطُوا) مِنْ رَحْمَةِ اللهِ؟ قَالَ: نَعَمْ، قَالَ: وَأَنَا سَمِعْتُهُ.
