আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৮৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৯
পরিচ্ছেদ : আয়িশা (রাযিঃ)-এর ফযীলত
৩৮৭৯। ইয়াহইয়া ইবন দুরস্ত বসরী (র.)... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ লোকেরা (সাধারণত নবী (ﷺ) কে হাদিয়া প্রদানের বেলায়) আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনটির তালাশে থাকত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন: একদিন আমার সপত্নীরা উম্ম সালামা (রাযিঃ)-এর কাছে একত্রিত হলেন। তারা বললেনঃ হে উম্মে সালামা! লোকেরা তো তাদের হাদিয়া প্রদানের বেলায় আয়িশা-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। আয়িশা যেমন কল্যাণ ও সম্পদ চায়, আমরাও তো এই কল্যাণ ও সম্পদ চাই। আপনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলে দিবেন, তিনি যেন লোকদের নির্দেশ দেন যে, তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, তারা তাদের হাদিয়া যেন সেখানেই পাঠিয়ে দেন।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে বিষয়টির উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করলেন। পরে নবী (ﷺ) যখন পুনরায় তাঁর কাছে আসেন, তখনও তিনি ঐ বিষয়টি আবার উত্থাপন করেন। বললেন ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার সাথীরা আলোচনা করেছিলেন যে, লোকেরা তাদের হাদিয়া নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। সুতরাং আপনি যেন তাদের বলে দেন যে, যার ঘরেই আপনি থাকুন না কেন, তারা যেন তাদের হাদিয়া সেখানেই পাঠায়।
তৃতীয় আরেক দিনও উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে সে কথা বললেন । তখন নবী বললেন : হে উম্মু সালামা! আয়িশা-এর সম্বন্ধে তোমরা আমাকে কষ্ট দিও না। কারণ, আয়িশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে একই চাদরে আবৃত অবস্থায় আমার কাছে ওহী নাযিল হয় না । হাদীসটি গারীব।
কোন কোন রাবী এ হাদীসটি হাম্মাদ ইব্ন যায়দ-হিশাম ইব্ন উরওয়া-তাঁর পিতা হিশাম (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে আওফ ইবনুল হারিছ-রুমায়ছা-উম্ম সালামা (রাযিঃ) সূত্রেও এ ধরনের কিছু বর্ণিত আছে । যা হোক, হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা রয়েছে। সুলায়মান ইব্ন বিলাল (রাহঃ)-হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে বিষয়টির উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করলেন। পরে নবী (ﷺ) যখন পুনরায় তাঁর কাছে আসেন, তখনও তিনি ঐ বিষয়টি আবার উত্থাপন করেন। বললেন ঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার সাথীরা আলোচনা করেছিলেন যে, লোকেরা তাদের হাদিয়া নিয়ে আয়িশা (রাযিঃ)-এর জন্য নির্ধারিত দিনের তালাশে থাকে। সুতরাং আপনি যেন তাদের বলে দেন যে, যার ঘরেই আপনি থাকুন না কেন, তারা যেন তাদের হাদিয়া সেখানেই পাঠায়।
তৃতীয় আরেক দিনও উম্ম সালামা (রাযিঃ) নবী (ﷺ) -এর কাছে সে কথা বললেন । তখন নবী বললেন : হে উম্মু সালামা! আয়িশা-এর সম্বন্ধে তোমরা আমাকে কষ্ট দিও না। কারণ, আয়িশা ছাড়া তোমাদের মধ্যে কোন স্ত্রীলোকের সঙ্গে একই চাদরে আবৃত অবস্থায় আমার কাছে ওহী নাযিল হয় না । হাদীসটি গারীব।
কোন কোন রাবী এ হাদীসটি হাম্মাদ ইব্ন যায়দ-হিশাম ইব্ন উরওয়া-তাঁর পিতা হিশাম (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে আওফ ইবনুল হারিছ-রুমায়ছা-উম্ম সালামা (রাযিঃ) সূত্রেও এ ধরনের কিছু বর্ণিত আছে । যা হোক, হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটির রিওয়ায়াত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা রয়েছে। সুলায়মান ইব্ন বিলাল (রাহঃ)-হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ)-হাম্মাদ ইব্ন যায়দ (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ فَضْلِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ دُرُسْتَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، قَالَتْ: فَاجْتَمَعَ صَوَاحِبَاتِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقُلْنَ: يَا أُمَّ سَلَمَةَ إِنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ وَإِنَّا نُرِيدُ الخَيْرَ كَمَا تُرِيدُ عَائِشَةُ، فَقُولِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ إِلَيْهِ أَيْنَمَا كَانَ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ فَأَعْرَضَ عَنْهَا، ثُمَّ عَادَ إِلَيْهَا فَأَعَادَتِ الكَلَامَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ صَوَاحِبَاتِي قَدْ ذَكَرْنَ أَنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ فَأْمُرِ النَّاسَ يُهْدُونَ أَيْنَمَا كُنْتَ، فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ قَالَتْ ذَلِكَ. قَالَ: «يَا أُمَّ سَلَمَةَ لَا تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّهُ مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ الوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ غَيْرِهَا» وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْسَلًا. هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، هَذَا الحَدِيثُ عَنْ عَوْفِ بْنِ الحَارِثِ، عَنْ رُمَيْثَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، شَيْئًا مِنْ هَذَا، «وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَلَى رِوَايَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ». وَقَدْ رَوَى سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، نَحْوَ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ
