আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৭২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭২৪
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
পরিচ্ছেদ
৩৭২৪। কুতায়বা (রাহঃ)... আম্মার ইবন সা'দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলে মু'আবিয়া ইবন আবু সুফয়ান (রাযিঃ) সা'দ (রাযিঃ)-কে আমীর বানালেন, আর বললেনঃ আবু তুরাব (রাযিঃ)-কে মন্দ বলতে আপনাকে কিসে বিরত রেখেছে? সা'দ (রাযিঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (আলী সম্পর্কে) যে তিনটি জিনিস বলেছেন, সেগুলো আমি করার কারণে আমি তাঁকে মন্দ বলতে পারি না। এর একটি জিনিসও যদি আমার মধ্যে হত, তবে লাল উটের চাইতেও তা আমার কাছে অধিক প্রিয় হত।
কোন এক যুদ্ধে (তাবুক) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে স্থলাভিষিক্ত করে গিয়েছিলেন। নবী (ﷺ)কে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে মহিলা ও শিশুদের মাঝে ছেড়ে যাচ্ছেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে বললেনঃ তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে মুসার কাছে হাতনের যে মা ছিল, আমার কাছে তোমার সেই মর্যাদা। তবে (জেনে রাখবে) আমার পরে কোন নবী (ﷺ) নেই। সা'দ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) কে খায়বার যুদ্ধের দিন বলতে শুনেছি। আজ আমি এমন এক হাতে পতাকা তুলে দিব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও ভালবাসেন।
সা'দ (রাযিঃ) বলেন : আমরা সবাই এর জন্য আগ্রহী হয়ে মাথা উঁচু করে তাকাতে লাগলাম।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আলীকে আমার কাছে ডেকে আন তিনি আসলেন। কিন্তু তাঁর চোখে ছিল অসুখ। নবী (ﷺ) তাঁর দুই চোখে ঘুঘু দিয়ে দিলেন এক কাছে পতাকা দিলেন। শেষে তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ্ তা'আলা বিজয় দান করেন।
এস, আমরা জাতি আমাদের পুত্রদের ও তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের ......... (সুরা আল ইমরান ৩: ৬১) যখন এ আয়াত নাযিল হল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী, ফাতিমা এবং হাসান হুসায়ন (রাযিঃ)-কে ডেকে আনলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ! এরা আমার পরিবার।
কোন এক যুদ্ধে (তাবুক) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে স্থলাভিষিক্ত করে গিয়েছিলেন। নবী (ﷺ)কে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে মহিলা ও শিশুদের মাঝে ছেড়ে যাচ্ছেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে বললেনঃ তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে মুসার কাছে হাতনের যে মা ছিল, আমার কাছে তোমার সেই মর্যাদা। তবে (জেনে রাখবে) আমার পরে কোন নবী (ﷺ) নেই। সা'দ (রাযিঃ) বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) কে খায়বার যুদ্ধের দিন বলতে শুনেছি। আজ আমি এমন এক হাতে পতাকা তুলে দিব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও ভালবাসেন।
সা'দ (রাযিঃ) বলেন : আমরা সবাই এর জন্য আগ্রহী হয়ে মাথা উঁচু করে তাকাতে লাগলাম।
নবী (ﷺ) বললেনঃ আলীকে আমার কাছে ডেকে আন তিনি আসলেন। কিন্তু তাঁর চোখে ছিল অসুখ। নবী (ﷺ) তাঁর দুই চোখে ঘুঘু দিয়ে দিলেন এক কাছে পতাকা দিলেন। শেষে তাঁর মাধ্যমেই আল্লাহ্ তা'আলা বিজয় দান করেন।
এস, আমরা জাতি আমাদের পুত্রদের ও তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের ......... (সুরা আল ইমরান ৩: ৬১) যখন এ আয়াত নাযিল হল, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলী, ফাতিমা এবং হাসান হুসায়ন (রাযিঃ)-কে ডেকে আনলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ! এরা আমার পরিবার।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَمَّرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا، فَقَالَ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا تُرَابٍ، قَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتَ ثَلَاثًا قَالَهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَنْ أَسُبَّهُ، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ. سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ وَخَلَفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ، فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ تَخْلُفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نُبُوَّةَ بَعْدِي»، وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ: «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيُحِبُّهُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ». قَالَ: فَتَطَاوَلْنَا لَهَا، فَقَالَ: «ادْعُوا لِي عَلِيًّا، فَأَتَاهُ وَبِهِ رَمَدٌ، فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ»، فَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةَ {فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ} [آل عمران: 61] الآيَةَ، دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ: «اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي»: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الوَجْهِ»