আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৭০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০৩
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
উছমান ইবন আফ্ফান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৭০৩। আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান, আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ দাওরী প্রমুখ (রাহঃ)... ছুমামা ইন হাযন কুশায়র (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উছমান (রাযিঃ) যখন (অবরুদ্ধ ) বাড়িটি থেকে মাথা বের করে তাদের (অবরোধকারী বিদ্রোহীদের) দিকে তাকালেন, তখন আমি হাযির ছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ তোমাদের সেই দুই সঙ্গীকে নিয়ে এস যারা আমার বিরুদ্ধে তোমাদের জমায়েত করেছে।
ছুমামা (রাযিঃ) বলেন তাদের দু'জনকে নিয়ে আসা হল যেন দুটো উট কিংবা দুটো গর্দভ। উছমান (রাযিঃ) তাদের দিকে তাকালেন। বললেনঃ তোমাদের আমি আল্লাহ্ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি জান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন সেখানে তখন রূমা কূপ ছাড়া মিষ্টি পানির ব্যবস্থা আর কোথাও ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কে আছে যে রমা কূপটি ক্রয় করে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু জান্নাতের বিনিময়ে এতে তার ও মুসলিমদের সমান অধিকার নিরূপণ করে (তা ওয়াক্ফ করে) দিবে? আমি তখন আমার নিজ মাল থেকে তা ক্রয় করে দেই, আর আজ তোমরা আমাকে এর পানি পান করতে বাধ্য দিচ্ছ। এমনকি সমুদ্রের পানি (-এর মত লোনা পানি) আমাকে পান করতে হচ্ছে।
লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক। উছমান (রাযিঃ) বললেন : আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে তোমাদের বলছি। তোমরা কি জান, মসজিদে নববী মুসল্লীদের জন্য অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন এমন কে আছে যে অমুক পরিবারের ভূখণ্ডটি কিনে এর চেয়েও উৎকৃষ্ট বস্তু জান্নাতের বদলায় সে তা দিয়ে মসজিদের সম্প্রসারণ করবে? আমি আমার মূলধন দিয়ে তা কিনে দিয়েছিলাম। আর আজ তোমরা আমাকে সেখানে দু'রাকআত সালাত আদায় করতে বাধা দিচ্ছ।
লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
তিনি বললেন তোমাদের আমি আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি তা জান যে, আমার অর্থে আমি জায়শুল উসরার রসদ যুগিয়ে দিয়েছিলাম? লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
তিনি বললেনঃ তোমাদের আমি আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি তা জান যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার মক্কার ছারীর পাহাড়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলাম আমি এবং আবু বকর ও উমার? পাহড়টি কাপতে লাগল এমন কি নীচে পাথর গড়িয়ে পড়তে শুরু করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন পা দিয়ে আঘাত করে বললেন : ছাবীর, স্থির হও। কেননা তোমার উপর আছেন নবী (ﷺ), সিদ্দীক এবং দুই শহীদ? তারা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
উছমান (রাযিঃ) তখন তিনবার বললেন। আল্লাহ আকবার। এরা সাক্ষ্য দিচ্ছে। কা'বা-এর রবের কসম, আমি তো শহীদ।
ছুমামা (রাযিঃ) বলেন তাদের দু'জনকে নিয়ে আসা হল যেন দুটো উট কিংবা দুটো গর্দভ। উছমান (রাযিঃ) তাদের দিকে তাকালেন। বললেনঃ তোমাদের আমি আল্লাহ্ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি জান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন সেখানে তখন রূমা কূপ ছাড়া মিষ্টি পানির ব্যবস্থা আর কোথাও ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ কে আছে যে রমা কূপটি ক্রয় করে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু জান্নাতের বিনিময়ে এতে তার ও মুসলিমদের সমান অধিকার নিরূপণ করে (তা ওয়াক্ফ করে) দিবে? আমি তখন আমার নিজ মাল থেকে তা ক্রয় করে দেই, আর আজ তোমরা আমাকে এর পানি পান করতে বাধ্য দিচ্ছ। এমনকি সমুদ্রের পানি (-এর মত লোনা পানি) আমাকে পান করতে হচ্ছে।
লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক। উছমান (রাযিঃ) বললেন : আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে তোমাদের বলছি। তোমরা কি জান, মসজিদে নববী মুসল্লীদের জন্য অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন এমন কে আছে যে অমুক পরিবারের ভূখণ্ডটি কিনে এর চেয়েও উৎকৃষ্ট বস্তু জান্নাতের বদলায় সে তা দিয়ে মসজিদের সম্প্রসারণ করবে? আমি আমার মূলধন দিয়ে তা কিনে দিয়েছিলাম। আর আজ তোমরা আমাকে সেখানে দু'রাকআত সালাত আদায় করতে বাধা দিচ্ছ।
লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
তিনি বললেন তোমাদের আমি আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি তা জান যে, আমার অর্থে আমি জায়শুল উসরার রসদ যুগিয়ে দিয়েছিলাম? লোকেরা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
তিনি বললেনঃ তোমাদের আমি আল্লাহ ও ইসলামের দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা কি তা জান যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার মক্কার ছারীর পাহাড়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলাম আমি এবং আবু বকর ও উমার? পাহড়টি কাপতে লাগল এমন কি নীচে পাথর গড়িয়ে পড়তে শুরু করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন পা দিয়ে আঘাত করে বললেন : ছাবীর, স্থির হও। কেননা তোমার উপর আছেন নবী (ﷺ), সিদ্দীক এবং দুই শহীদ? তারা বলল : হ্যাঁ, তা ঠিক।
উছমান (রাযিঃ) তখন তিনবার বললেন। আল্লাহ আকবার। এরা সাক্ষ্য দিচ্ছে। কা'বা-এর রবের কসম, আমি তো শহীদ।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب في مناقب عثمان بن عفان رضي الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ المَعْنَى وَاحِدٌ، قَالُوا: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي الحَجَّاجِ المَنْقَرِيِّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الجُرَيْرِيِّ، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ حَزْنٍ القُشَيْرِيِّ، قَالَ: شَهِدْتُ الدَّارَ حِينَ أَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ، فَقَالَ: ائْتُونِي بِصَاحِبَيْكُمُ اللَّذَيْنِ أَلَّبَاكُمْ عَلَيَّ. قَالَ: فَجِيءَ بِهِمَا فَكَأَنَّهُمَا جَمَلَانِ أَوْ كَأَنَّهُمَا حِمَارَانِ، قَالَ: فَأَشْرَفَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانُ، فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ المَدِينَةَ وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ يُسْتَعْذَبُ غَيْرَ بِئْرِ رُومَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَشْتَرِي بِئْرَ رُومَةَ فَيَجْعَلَ دَلْوَهُ مَعَ دِلَاءِ المُسْلِمِينَ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الْجَنَّةِ»؟ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَأَنْتُمُ اليَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ أَشْرَبَ مِنْهَا حَتَّى أَشْرَبَ مِنْ مَاءِ الْبَحْرِ. قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. فَقَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالْإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ المَسْجِدَ ضَاقَ بِأَهْلِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَشْتَرِي بُقْعَةَ آلِ فُلَانٍ فَيَزِيدَهَا فِي المَسْجِدِ بِخَيْرٍ لَهُ مِنْهَا فِي الجَنَّةِ»؟ فَاشْتَرَيْتُهَا مِنْ صُلْبِ مَالِي فَأَنْتُمُ اليَوْمَ تَمْنَعُونِي أَنْ أُصَلِّيَ فِيهَا رَكْعَتَيْنِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ، نَعَمْ. قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَبِالْإِسْلَامِ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنِّي جَهَّزْتُ جَيْشَ العُسْرَةِ مِنْ مَالِي؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ وَالإِسْلَامِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ عَلَى ثَبِيرِ مَكَّةَ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَأَنَا فَتَحَرَّكَ الجَبَلُ حَتَّى تَسَاقَطَتْ حِجَارَتُهُ بِالحَضِيضِ قَالَ: فَرَكَضَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ: «اسْكُنْ ثَبِيرُ فَإِنَّمَا عَلَيْكَ نَبِيٌّ وَصِدِّيقٌ وَشَهِيدَانِ؟» قَالُوا: اللَّهُمَّ، نَعَمْ. قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ شَهِدُوا لِي وَرَبِّ الكَعْبَةِ أَنِّي شَهِيدٌ، ثَلَاثًا: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُثْمَانَ»
বর্ণনাকারী: