আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪৮. নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল

হাদীস নং: ৩৬৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৮৯
পরিচ্ছেদঃ উমার ইবন খাত্তাব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৬৮৯। হুসায়ন ইবন হুরায়ছ আবু আম্মার মাবরুমী (রাহঃ)... আবু বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদিন ভোরে বিলাল (রাযিঃ)-কে ডেকে পাঠালেন। তাঁকে বললেনঃ হে বিলাল। কি সে তুমি জান্নাতে আমার আগে আগে রইলে? যতবারই আমি (স্বপ্লে) জান্নাতে প্রবেশ করেছি, ততবারই আমি আমার সামনে তোমার পায়ের খস খস আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।

গতরাতে আমি জান্নাতে দাখিল হলাম আমার সামনে তোমার পায়ের খস খস আওয়াজ শুনলাম। স্বর্ণ নির্মিত বালাখানাসহ একটি চতুষ্কোণ প্রাসাদে এলাম।

বললাম এই প্রাসাদটি কার?

ফিরিশতারা বললেন । জনৈক আরবের।

আমি বললাম ? আমিও তো আরবী। এই প্রাসাদটি কার জন্য? ফিরিশতারা বললেন ? জনৈক কুরায়শ বংশীয় ব্যক্তির।

আমি বললামঃ আমিও তো কুরায়শী। কার এই প্রাসাদটি?

তারা বললেনঃ মুহাম্মাদ এর জনৈক উম্মতের। আমি বললামঃ আমিই তো মুহাম্মাদ। কার এই প্রাসাদটি?

তারা বললেন : উমার ইবন খাত্তাবের।

বিলাল (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যখনই আমি আযান দিতে গিয়েছি তখনই দু'রাকআত (নফল) সালাত আদায় করেছি। যখনই আমার উযূ নষ্ট হয়েছে, তখনই আমি উযূ করে নিয়েছি এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে দুই রাকআত সালাত আদায় আমার জন্য অবশ্য কর্তব্য বলে গণ্য করেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ দু'টো বিষয়ের মাধ্যমেই (তুমি সেই ফযীলত লাভ করতে পেরেছ)।

এই বিষয়ে জাবির, মুআয আনাস ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ জান্নাতে আমি একটি স্বর্ণ-প্রাসাদ দেখে বললাম, এটি কার? জবাবে বলা হল, এটি উমার ইবন খাত্তাবের।
باب في مناقب أبي حفص عمر بن الخطاب رضي الله عنه
حَدَّثَنَا الحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ المَرْوَزِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي بُرَيْدَةَ، قَالَ: أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَعَا بِلَالًا فَقَالَ: " يَا بِلَالُ بِمَ سَبَقْتَنِي إِلَى الجَنَّةِ؟ مَا دَخَلْتُ الجَنَّةَ قَطُّ إِلَّا سَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي، دَخَلْتُ البَارِحَةَ الجَنَّةَ فَسَمِعْتُ خَشْخَشَتَكَ أَمَامِي، فَأَتَيْتُ عَلَى قَصْرٍ مُرَبَّعٍ مُشْرِفٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا القَصْرُ؟ فَقَالُوا: لِرَجُلٍ مِنَ العَرَبِ، فَقُلْتُ: أَنَا عَرَبِيٌّ، لِمَنْ هَذَا القَصْرُ؟ قَالُوا لِرَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَقُلْتُ: أَنَا قُرَشِيٌّ، لِمَنْ هَذَا القَصْرُ؟ قَالُوا: لِرَجُلٍ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: أَنَا مُحَمَّدٌ لِمَنْ هَذَا القَصْرُ؟ قَالُوا: لِعُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ ". فَقَالَ بِلَالٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَذَّنْتُ قَطُّ إِلَّا صَلَّيْتُ رَكْعَتَيْنِ، وَمَا أَصَابَنِي حَدَثٌ قَطُّ إِلَّا تَوَضَّأْتُ عِنْدَهَا وَرَأَيْتُ أَنَّ لِلَّهِ عَلَيَّ رَكْعَتَيْنِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِهِمَا» وَفِي البَابِ عَنْ جَابِرٍ، وَمُعَاذٍ، وَأَنَسٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " رَأَيْتُ فِي الجَنَّةِ قَصْرًا مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا؟ فَقِيلَ: لِعُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ ": " هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ وَمَعْنَى هَذَا الحَدِيثِ: «أَنِّي دَخَلْتُ البَارِحَةَ الجَنَّةَ» يَعْنِي: رَأَيْتُ فِي المَنَامِ كَأَنِّي دَخَلْتُ الجَنَّةَ، هَكَذَا رُوِيَ فِي بَعْضِ الحَدِيثِ وَيُرْوَى عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: رُؤْيَا الأَنْبِيَاءِ وَحْيٌ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, অযুর পরে দু’রাকাত নামায পড়া বড় ধরণের নেক কাজ। অতএব, যথাসম্ভব আমলের চেষ্টা করা উচিত। তবে এটা যেহেতু নফল নামায সেহেতু ঐ সময়টা নফল নামায পড়ার জন্য মাকরূহ ওয়াক্ত হলে তখন নামায পড়বে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান