আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৮২
২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুওয়্যাতের নিদর্শনসমূহ
৩৩২৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর যুগে একবার মদীনাবাসী অনাবৃষ্টির দরুন (দুর্ভিক্ষে) পতিত হল। ঐ সময় কোন এক জুমু'আর দিনে নবী কারীম (ﷺ) খুতবা দিয়েছিলেন, তখন এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো, এবং বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ! (অনাবৃষ্টির কারণে) ঘোড়াগুলো নষ্ট হয়ে গেল, বকরীগুলো ধ্বংস হয়ে গেল। আল্লাহর নিকটে বৃষ্টির জন্য দুআ করুন। নবী কারীম (ﷺ) তৎক্ষণাৎ দু’হাত উঠিয়ে দুআ করলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, তখন আকাশ স্ফটিক সদৃশ্য নির্মল ছিল। হঠাৎ মেঘ সৃষ্টিকারী বাতাস বইতে শুরু করল এবং মেঘ ঘনীভূত হয়ে গেল। তারপর শুরু হল প্রবল বারিপাত যেন আকাশ তার দ্বার উন্মুক্ত করে দিল। আমরা (নামায শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে) পানি ভেঙ্গে বাড়ি পৌঁছলাম।
পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টিপাত হল। ঐ শুক্রবারে জুমু'আর সময় ঐ ব্যক্তি বা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (অতিবৃষ্টির কারণে) গৃহগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেল। বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর নিকটে দুআ করুন। তখন নবী (ﷺ) (তাঁর কথা শুনে) মুচকি হাঁসলেন এবং বললেন, (হে আল্লাহ!) আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি হউক। আমাদের উপর নয়। (আনাস (রাযিঃ) বলেন) তখন আমি দেখলাম, মদীনার আকাশ থেকে মেঘমালা চতুর্দিক সরে গেছে আর মদীনা (যেন মেঘমুক্ত হয়ে) মুকুটের ন্যায় শোভা পাচ্ছে।
পরবর্তী শুক্রবার পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টিপাত হল। ঐ শুক্রবারে জুমু'আর সময় ঐ ব্যক্তি বা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (অতিবৃষ্টির কারণে) গৃহগুলো বিধ্বস্ত হয়ে গেল। বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর নিকটে দুআ করুন। তখন নবী (ﷺ) (তাঁর কথা শুনে) মুচকি হাঁসলেন এবং বললেন, (হে আল্লাহ!) আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি হউক। আমাদের উপর নয়। (আনাস (রাযিঃ) বলেন) তখন আমি দেখলাম, মদীনার আকাশ থেকে মেঘমালা চতুর্দিক সরে গেছে আর মদীনা (যেন মেঘমুক্ত হয়ে) মুকুটের ন্যায় শোভা পাচ্ছে।
