আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির

হাদীস নং: ৩৫৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৫৬
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৫৫৬. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... সালমান ফারসী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত লজ্জাশীল ও পরম দয়ালু। কোন বান্দা যখন তাঁর কাছে দুই হাত তোলে, তখন তাকে বঞ্চিত করে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে তাঁর লজ্জা হয়।

হাদীসটি হাসান-গারীব। কেউ কেউ এটি রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু মরফু’ হিসেবে নয়।
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ مَيْمُونٍ، صَاحِبُ الأَنْمَاطِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي إِذَا رَفَعَ الرَّجُلُ إِلَيْهِ يَدَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا خَائِبَتَيْنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, হাত উঠিয়ে যে দুআ করা হয় তা কবুল হওয়ার বেশী উপযোগী।

দুআ করার আদব হলো হাতের তালু দ্বারা দুআ করা। অবশ্য হাত উত্তোলন করা ব্যতীত দুআর আমলও রসূলুল্লাহ স. থেকে প্রমাণিত রয়েছে। সুতরাং হাত উত্তোলন না করার আমলও জায়েয। হযরত আনাস রা. থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَيْءٍ مِنْ دُعَائِهِ إِلَّا فِي الِاسْتِسْقَاءِ ইসতিস্কা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার দুআ ব্যতীত অন্য কোন দুআয় নবী কারীম স. হাত উঠাতেন না। (বুখারী-৯৭৪) এ হাদীসের কারণে অনেকে বলে থাকেন যে, ইসতিস্কা ব্যতীত কোন দুআয় রসূল স. হাত উঠাননি। অথচ এ কথাটি ঠিক নয়। কারণ এ হাদীসের শেষাংশে উল্লেখ আছে যে, وَإِنَّهُ يَرْفَعُ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ ইসতিস্কার দুআয় তিনি হাত এতটা উঁচু করতেন যে, তাঁর বগলদ্বয়ের শুভ্রতা দেখা যেতো। এ থেকে বুঝা যায় যে, হযরত আনাস রা.-এর উদ্দেশ্য এটা বর্ণনা করা নয় যে, তিনি অন্য কোন দুআয় মোটেও হাত উঠাতেন না। বরং উদ্দেশ্য এ কথা বর্ণনা করা যে, অন্য কোন দুআয় তিনি ইসতিস্কার মতো হাত এতটা উঁচু করতেন না। এ অর্থ করা না হলে হযরত আনাস রা.-এর বর্ণনা বেশ কিছু সহীহ হাদীসের পরিপন্থী হয়ে যাবে। কারণ ইসতিস্কা ব্যতীত অন্য দুআয় হাত উঠানোর অনেক প্রমাণ হাদীসে রয়েছে। নমুনা হিসেবে দেখুন- বুখারী: ৫৯৪১, ৪০০৩, মুসলিম-৩৯৩, ৪৪৭১, তিরমিযী-৩৩৮৬, মুয়াত্তা মালেক-২/৫২৭, মুসনাদে আহমাদ-৭৩১৫, নাসাঈ-৩০১৩, ইবনে আবী শাইবা-৩০০২০, ৩০২৯১ ও ৩৩০১৮, আল-আদাবুল মুফরাদ-৬১৩ নাম্বারে
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান