আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৬
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৬. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ কারো যদি এত পরিমাণ সম্পদ থাকে যে যদ্বারা সে তার বায়তুল্লাহ হজ্জ করতে পারে বা তার উপর যাকাত ফরয হতে পারে, আর যদি সে তা না করে, তবে মৃত্যুর সময় সে দুনিয়ায় ফিরে আসতে চাইবে।
জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে ইবনে আব্বাস! আল্লাহকে ভয় করুন, দুনিয়ায় তো কাফিররা ফিরে আসতে চাইবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে আমি তোমাদের কে একটি আয়াত তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছিঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ إِلَى قَوْلِهِ : واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন সম্পদ এবং সন্তান সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বেই অন্যথায় মৃত্যুতে সে বলবেঃ হে আমার রব আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদ্কা দিতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ কখনও কাউকে অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৯-১১)
লোকটি বললঃ কিসে যাকাত ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ দু’শো বা ততোধিক পরিমাণ দিরহাম হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।
লোকটি বলল হজ্জ কিসে ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ পাথেয় এবং যানবাহনের ব্যবস্থা হলে।
জনৈক ব্যক্তি বললঃ হে ইবনে আব্বাস! আল্লাহকে ভয় করুন, দুনিয়ায় তো কাফিররা ফিরে আসতে চাইবে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে আমি তোমাদের কে একটি আয়াত তেলাওয়াত করে শুনাচ্ছিঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ إِلَى قَوْلِهِ : واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের ধন সম্পদ এবং সন্তান সন্তুতি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে উদাসীন না করে। যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তোমরা তা থেকে ব্যয় করবে তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বেই অন্যথায় মৃত্যুতে সে বলবেঃ হে আমার রব আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদ্কা দিতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ কখনও কাউকে অবকাশ দিবেন না। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ ৯-১১)
লোকটি বললঃ কিসে যাকাত ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ দু’শো বা ততোধিক পরিমাণ দিরহাম হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হয়।
লোকটি বলল হজ্জ কিসে ওয়াজিব হয়? ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ পাথেয় এবং যানবাহনের ব্যবস্থা হলে।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَنَابٍ الْكَلْبِيُّ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ مَنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يُبَلِّغُهُ حَجَّ بَيْتِ رَبِّهِ أَوْ تَجِبُ عَلَيْهِ فِيهِ الزَّكَاةُ فَلَمْ يَفْعَلْ سَأَلَ الرَّجْعَةَ عِنْدَ الْمَوْتِ . فَقَالَ رَجُلٌ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ اتَّقِ اللَّهَ إِنَّمَا سَأَلَ الرَّجْعَةَ الْكُفَّارُ قَالَ سَأَتْلُو عَلَيْكَ بِذَلِكَ قُرْآنًا : ( يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلاَ أَوْلاَدُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ ) : (وأَنْفِقُوا مِمَّا رَزَقْنَاكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( واللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ) قَالَ فَمَا يُوجِبُ الزَّكَاةَ قَالَ إِذَا بَلَغَ الْمَالُ مِائَتَىْ دِرْهَمٍ فَصَاعِدًا . قَالَ فَمَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ الزَّادُ وَالْبَعِيرُ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ . وَقَالَ هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَأَبُو جَنَابٍ الْقَصَّابُ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِهِ . وَقَالَ هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَوْلُهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ . وَأَبُو جَنَابٍ الْقَصَّابُ اسْمُهُ يَحْيَى بْنُ أَبِي حَيَّةَ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ .
