আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৩১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৫
সূরা আল-মুনাফিকুন
৩৩১৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা এক গাযওয়াহ অভিযানে ছিলাম। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন এটি ছিল বানু মুস্তালিক (মুরায়সী) যুদ্ধ। ঘটনাক্রমে একজন মুহাজির জনৈক আনসারীর নিতম্বে ঘুষি মারে। আনসারী ব্যক্তিটি তখন (সাহায্যের জন্য) আনসারীদের আহবান জানায়। এদিকে মুহাজির ব্যক্তিটি মুহাজিরদের আহবান জানায়। নবী (ﷺ) তা শুনে বলেনঃ এ জাহিলী ডাক কেন? সাহাবীরা বললেনঃ জনৈক মুহাজির ব্যক্তি জৈনক আনসারীর নিতম্বে ঘুষি মেরেছে।
নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও তা এত পুঁতিগন্ধ ময় কথা। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুলও তা শুনল। সে বলল এরা এমন করেছে না কি? আল্লাহর কসম আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্ভ্রান্তরা (মদীনাবাসীরা) নিকৃষ্টদের (মুহাজিরদের) আবশ্যই সেখান থেকে বের করে দিবে।
উমর (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ মুনাফিকটার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও ওকে। মুহাম্মাদ তার সঙ্গিদের হত্যা করেছেু এ কথা যেন মানুষ না বলে। আমর ব্যতীত অন্যান্য রবীরা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম তুমি নিজে হীন এবং এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ই সম্মানিত, এ কথা স্বীকার না করা পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না। শেষে তাকে তা স্বীকার করতে হল।
নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও তা এত পুঁতিগন্ধ ময় কথা। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুলও তা শুনল। সে বলল এরা এমন করেছে না কি? আল্লাহর কসম আমরা যদি মদীনায় ফিরে যেতে পারি তবে সম্ভ্রান্তরা (মদীনাবাসীরা) নিকৃষ্টদের (মুহাজিরদের) আবশ্যই সেখান থেকে বের করে দিবে।
উমর (রাযিঃ) বললেন আমাকে ছেড়ে দিন ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ মুনাফিকটার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেনঃ ছেড়ে দাও ওকে। মুহাম্মাদ তার সঙ্গিদের হত্যা করেছেু এ কথা যেন মানুষ না বলে। আমর ব্যতীত অন্যান্য রবীরা বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তার পিতাকে বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম তুমি নিজে হীন এবং এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)ই সম্মানিত, এ কথা স্বীকার না করা পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না। শেষে তাকে তা স্বীকার করতে হল।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمُنَافِقِينَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ كُنَّا فِي غَزَاةٍ قَالَ سُفْيَانُ يَرَوْنَ أَنَّهَا غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَكَسَعَ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ الْمُهَاجِرِيُّ يَا لَلْمُهَاجِرِينَ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ يَا لَلأَنْصَارِ فَسَمِعَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا بَالُ دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ " . قَالُوا رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ كَسَعَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ " . فَسَمِعَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ ابْنُ سَلُولَ فَقَالَ أَوَقَدْ فَعَلُوهَا وَاللَّهِ (لئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ ) فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ لاَ يَتَحَدَّثُ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ " . وَقَالَ غَيْرُ عَمْرٍو فَقَالَ لَهُ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَاللَّهِ لاَ تَنْقَلِبُ حَتَّى تُقِرَّ أَنَّكَ الذَّلِيلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَزِيزُ . فَفَعَلَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
