আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৩১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৯
সূরা নূর
৩১৭৯. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হিলাল ইবনে উমাইয়া তাঁর স্ত্রীকে শারীক ইবনে সাহমার সঙ্গে জড়িয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে যিনার অপবাদ দেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ সাক্ষী পেশ কর। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।

হিলাল (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কেউ যদি তার স্ত্রীর উপর কোন ব্যক্তিকে আপতিত দেখতে পায় তবে কি সে সাক্ষী তালাশ করতে যায়? কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলতে লাগলেনঃ সাক্ষী আন। নইলে তোমার পিঠে হদ প্রয়োগ করা হবে।

হিলাল (রাযিঃ) বললেনঃ কসম সেই সত্তার যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। আমি অবশ্যই সত্যবাদী। আমার এই বিষয়ে অবশ্যই আল্লাহ্ তাআলা এমন কিছু নাযিল করবেন যদ্বারা হদ প্রয়োগ থেকে আমার পিঠ বেঁচে যাবে। অনন্তর আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃ

والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ

নবী (ﷺ) এদের দুই জনকে ডেকে নিয়ে আসলেন। হিলাল ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন, নবী (ﷺ) বলছিলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা জানেন তোমাদের একজন অবশ্যই মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমাদের মাঝে তওবা করার কেউ আছে কি?

এরপর মেয়েটি দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দেয়। পঞ্চম বারে যখন ’‘পুরুষটি যদি সত্যবাদী হয় তবে তার (মেয়েটির) উপর আল্লাহর গযব আপতিত হোক’’, বলার সময় এল তখন উপস্থিত লোকেরা বললঃ এ গযব অবশ্যম্ভাবী হবে।

ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেনঃ মেয়েটি তখন থেমে গেল এবং মাথা নীচু করে ফেলল। এমন কি আমাদের ধারণা হয় যে, সে বুঝি তার কথা প্রত্যাহার করবে। এরপর সে বললঃ আমি আমার কওমকে সকল সময়ের জন্য বেইজ্জত করতে পারি না।

নবী (ﷺ) বললেনঃ মেয়েটিকে লক্ষ্য কর। সে যদি সুরমা টানা দু’চোখ, ভারী নিতম্ব এবং সুস্পষ্ট জংঘা বিশিষ্ট বাচ্চা প্রসব করে তবে শারীক ইবনে সাহমার। শেষে মেয়েটি এই ধরণের বাচ্চা প্রসব করে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ এই বিষয়ে কিতাবুল্লাহর বিধান যদি আগে থেকেই না থাকত তবে এই মেয়েটির ক্ষেত্রে আমাদের একটা দৃষ্টান্তমূলক বিষয় ঘটত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النُّورِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْبِيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلاً عَلَى امْرَأَتِهِ أَيَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْبَيِّنَةَ وَإِلاَّ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ " . قَالَ فَقَالَ هِلاَلٌ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيَنْزِلَنَّ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنَ الْحَدِّ فَنَزَلَ : (والَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ) فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ : ( والْخَامِسَةَ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالَ فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلاَلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا تَائِبٌ " . ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَتْ عِنْدَ الْخَامِسَةِ : ( أنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ ) قَالُوا لَهَا إِنَّهَا مُوجِبَةٌ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَسَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنْ سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ لاَ أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ السَّحْمَاءِ " . فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْلاَ مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لَكَانَ لَنَا وَلَهَا شَأْنٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ وَهَكَذَا رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ أَيُّوبُ عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ৩১৭৯ | মুসলিম বাংলা