আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩১১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১১৯
সূরা ইবরাহীম
৩১১৯. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) এর কাছে একটি খাঞ্চা আনা হল। এতে ছিল কিছু তাজা খেজুর। তিনি তখন পাঠ করলেনঃ
مَثَلُ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا
উত্তম কথার তুলনা হল এমন গাছ যার মূল সুদৃঢ় ও যার শাখা প্রশাখা উর্ধে বিস্তৃত যা প্রত্যেক মাওসুমে তার ফল ডান করে। তার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে ....... (১৪ঃ ২৪)। তিনি বললেন এ হল খেজুর গাছ।
مَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِنْ فَوْقِ الأَرْضِ مَا لَهَا مِنْ قَرَارٍ
কুবাক্যের তুলনা এক মন্দ গাছ, যার মূল ভূপৃষ্ট হতে বিচ্ছিন্ন। যার কোন স্থায়িত্ব নেই (১৪ : ২৬)। তিনি বললেনঃ এ হল মাকাল গাছ।
রাবী শুআয়ব ইবনে হাবহাব (রাহঃ) বলেন, আমি আবুল আলিয়া (রাহঃ)-কে এটি সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি বললেনঃ সত্য ও সুন্দর বলেছেন।
কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি এটি মারফু’ করেননি এবং আবুল আলিয়ার বক্তব্যটিও উল্লেখ করেননি। এটি হাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে অধিক সহীহ। একাধিক রাবী এটি মাউকুফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। হাম্মাদ ইবনে সালামা ছাড়া আর কেউ মারফূ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মা’মার, হাম্মাদ ইবনে যায়দ প্রমুখ (রাহঃ) এটি রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তারা এটি মারফু’ করেন নি।
আহমদ ইবনে আব্দা যাববী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে কুতায়বা-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এটি মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেন নি।
مَثَلُ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا
উত্তম কথার তুলনা হল এমন গাছ যার মূল সুদৃঢ় ও যার শাখা প্রশাখা উর্ধে বিস্তৃত যা প্রত্যেক মাওসুমে তার ফল ডান করে। তার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে ....... (১৪ঃ ২৪)। তিনি বললেন এ হল খেজুর গাছ।
مَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِنْ فَوْقِ الأَرْضِ مَا لَهَا مِنْ قَرَارٍ
কুবাক্যের তুলনা এক মন্দ গাছ, যার মূল ভূপৃষ্ট হতে বিচ্ছিন্ন। যার কোন স্থায়িত্ব নেই (১৪ : ২৬)। তিনি বললেনঃ এ হল মাকাল গাছ।
রাবী শুআয়ব ইবনে হাবহাব (রাহঃ) বলেন, আমি আবুল আলিয়া (রাহঃ)-কে এটি সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি বললেনঃ সত্য ও সুন্দর বলেছেন।
কুতায়বা (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তিনি এটি মারফু’ করেননি এবং আবুল আলিয়ার বক্তব্যটিও উল্লেখ করেননি। এটি হাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে অধিক সহীহ। একাধিক রাবী এটি মাউকুফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। হাম্মাদ ইবনে সালামা ছাড়া আর কেউ মারফূ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মা’মার, হাম্মাদ ইবনে যায়দ প্রমুখ (রাহঃ) এটি রিওয়ায়াত করেছেন। কিন্তু তারা এটি মারফু’ করেন নি।
আহমদ ইবনে আব্দা যাববী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে কুতায়বা-এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এটি মারফূ’ রূপে বর্ণনা করেন নি।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِنَاعٍ عَلَيْهِ رُطَبٌ فَقَالَ " مَثَلُ كَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا قَالَ هِيَ النَّخْلَةُ : ( مَثَلُ كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ اجْتُثَّتْ مِنْ فَوْقِ الأَرْضِ مَا لَهَا مِنْ قَرَارٍ ) قَالَ هِيَ الْحَنْظَلُ " . قَالَ فَأَخْبَرْتُ بِذَلِكَ أَبَا الْعَالِيَةِ فَقَالَ صَدَقَ وَأَحْسَنَ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَبِي الْعَالِيَةِ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ هَذَا مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ غَيْرَ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، نَحْوَ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَلَمْ يَذْكُرْ قَوْلَ أَبِي الْعَالِيَةِ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَرَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِثْلَ هَذَا مَوْقُوفًا وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ غَيْرَ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ الْحَبْحَابِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، نَحْوَ حَدِيثِ قُتَيْبَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
