আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৩৫
সূরা আন-নিসা
৩০৩৫. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দ্বাজনান ও উসফানের মাঝে এক স্থানে যাত্রাবিরতি করেছিলেন। মুশরিকরা বললঃ এদের একটি নামায আছে যা তাদের কাছে তাদের পিতা-পিতামহ ও সন্তান-সন্ততি থেকে অধিক প্রিয়। তা হল সালাতুল আসর। তাই তোমরা (তোমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে) দৃঢ় সংকল্প হয়ে থাক। আর তখন এক হামলা চালিয়ে (তাদের শেষ করে) দিবে।
জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরকে দুই ভাগে ভাগ করে তাদের নিয়ে নামায আদায় করতে নির্দেশ দিলেন। অপর দল অস্ত্রশস্ত্র এবং সতর্কতা রক্ষার উদ্দেশ্যে তাদের পেছনে থাকবে। এরপর অপর দলটি আসবে এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে এক রাকআত নামায আদায় করবে। প্রথম দলটি তাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং সতর্কতা রক্ষা করবে। ফলে এদের জন্য হবে এক এক রাকআত করে আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য হবে দুই রাকআত।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে শাকীক ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, যায়দ ইবনে ছাবিত, ইবনে আব্বাস, জাবির, আবু আয়্যাশ আয-যুরকী, ইবনে উমর, হুযাইফা, আবু বাকরা, সাহল ইবনে হাছমা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু আয়্যাশ আয যুরাকী (রাযিঃ)-এর নাম হল যায়দ ইবনে সামিত।
জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম)-নবী (ﷺ) এর কাছে এলেন এবং তাঁর সঙ্গীদেরকে দুই ভাগে ভাগ করে তাদের নিয়ে নামায আদায় করতে নির্দেশ দিলেন। অপর দল অস্ত্রশস্ত্র এবং সতর্কতা রক্ষার উদ্দেশ্যে তাদের পেছনে থাকবে। এরপর অপর দলটি আসবে এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে এক রাকআত নামায আদায় করবে। প্রথম দলটি তাদের অস্ত্রশস্ত্র এবং সতর্কতা রক্ষা করবে। ফলে এদের জন্য হবে এক এক রাকআত করে আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর জন্য হবে দুই রাকআত।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে শাকীক ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ, যায়দ ইবনে ছাবিত, ইবনে আব্বাস, জাবির, আবু আয়্যাশ আয-যুরকী, ইবনে উমর, হুযাইফা, আবু বাকরা, সাহল ইবনে হাছমা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু আয়্যাশ আয যুরাকী (রাযিঃ)-এর নাম হল যায়দ ইবনে সামিত।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ بَيْنَ ضَجْنَانَ وَعُسْفَانَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ إِنَّ لِهَؤُلاَءِ صَلاَةً هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ وَهِيَ الْعَصْرُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ فَمِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ شَطْرَيْنِ فَيُصَلِّيَ بِهِمْ وَتَقُومَ طَائِفَةٌ أُخْرَى وَرَاءَهُمْ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ ثُمَّ يَأْتِي الآخَرُونَ وَيُصَلُّونَ مَعَهُ رَكْعَةً وَاحِدَةً ثُمَّ يَأْخُذُ هَؤُلاَءِ حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ فَتَكُونُ لَهُمْ رَكْعَةٌ رَكْعَةٌ وَلِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَانِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَأَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ وَابْنِ عُمَرَ وَحُذَيْفَةَ وَأَبِي بَكْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ وَأَبُو عَيَّاشٍ الزُّرَقِيُّ اسْمُهُ زَيْدُ بْنُ صَامِتٍ .
