আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

৪২. অনুমতি প্রার্থনা ও বিবিধ শিষ্টাচারের অধ্যায়

হাদীস নং: ২৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৪৮
নামাযে হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে।
২৭৪৮. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ..... আদী ইবনে ছাবিত তাঁর পিতা তাঁর পিতামহ থেকে মারফূ’রূপে বর্ণিত আছে যে, নামাযে হাঁচি আসা, নিদ্রা্ আসা, হাই আসা আর হায়য, বমি ও নাক দিয়ে রক্ত পড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।
بَابُ مَا جَاءَ أَنَّ العُطَاسَ فِي الصَّلاَةِ مِنَ الشَّيْطَانِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، رَفَعَهُ قَالَ " الْعُطَاسُ وَالنُّعَاسُ وَالتَّثَاؤُبُ فِي الصَّلاَةِ وَالْحَيْضُ وَالْقَىْءُ وَالرُّعَافُ مِنَ الشَّيْطَانِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ شَرِيكٍ عَنْ أَبِي الْيَقْظَانِ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قُلْتُ لَهُ مَا اسْمُ جَدِّ عَدِيٍّ قَالَ لاَ أَدْرِي . وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ قَالَ اسْمُهُ دِينَارٌ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, শরীরের যে কোন স্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে অযু ভেঙ্গে যায়। তবে রক্তের পরিমাণ যদি এত কম হয় যা শুধু দেখা যায় কিন্তু প্রবাহিত হয় না তাহলে অযু ভঙ্গ হবে না। সাহাবায়ে কিরাম, তাবিঈন, তাবে তাবিঈন এবং আয়েম্মায়ে মুজতাহিদীনের অনেকে এ মত পোষণ করেছেন। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (আলমগিরী: ১/১০) আলস্নামা ইবনে আব্দিল বার রহ. এ ব্যাপারে প্রথমে হযরত ইবনে উমার রা.-এর মাযহাব তুলে ধরেন। অতঃপর বলেন, ইবনে উমারের মতো অনুরূপ মতামত বর্ণিত হয়েছে হযরত আলী, ইবনে মাসউদ, আলকামা, আমের শা’বী, উরওয়া বিন যুবায়ের, ইবরাহীম নাখাঈ, হাকাম বিন উতায়বা, হাম্মাদ বিন আবি সুলাইমান থেকে। তাঁরা প্রত্যেকেই নাক দিয়ে রক্ত ঝরা এবং শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত বের হয়ে প্রবাহিত হওয়াকে নামাযের জন্য অযু ওয়াজিবকারী বলে মনে করেন। এ কারণে ইমাম আবু হানিফা, তাঁর সাথীগণ, সুফিয়ান সাওরী, হাসান বিন হাই, উবায়দুলস্নাহ বিন হাসান, আওঝাঈ, আহমাদ বিন হাম্বল ইসহাক বিন রাহওয়াইহ রহ. সকলেই নাকসীর জখম, সিঙ্গা লাগান এবং শরীর থেকে যে কোন নাপাক বের হলে পবিত্রতা নষ্ট হবে বলে মনে করেন। ফলে কেউ নামায পড়তে চাইলে তার জন্য অযু আবশ্যক হবে। যদি রক্তের পরিমাণ কম হয় বা রক্ত বের হয়ে আসেনি অথবা রক্ত প্রবাহিত হয়নি তাহলে সকলের ঐক্যমতে ঐ রক্তের কারণে অযু ভঙ্গ হবে না। আর হযরত মুজাহিদ রহ. ব্যতীত কোন ইমাম সামান্য রক্তের কারণে অযু ভঙ্গের মত পোষণ করেছেন বলে আমার জানা নেই। (আল্ ইসিত্মজকার, ১/২২৯)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী - হাদীস নং ২৭৪৮ | মুসলিম বাংলা