আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
হাদীস নং: ২২৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৯
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৫২. ’আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাহাবীগণের এক দলসহ একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইবনে সাইয়াদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এই দলে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)ও ছিলেন। বনু মাগালায় উচুমহলের পাশে ইবনে সাইয়্যাদ তখন কিছু বালকের সাথে খেলছিল। সেও ছিল একজন বালক। সে টের পাওয়ার আগেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গিয়ে তার পিঠে হাত-চাপড় দিলেন। পরে বললেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
ইবনে সাইয়্যাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর ইবনে সাইয়্যাদ নবী (ﷺ)-কে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।
তারপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ কি আসে তোমার কাছে?
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ আমার কাছে সত্যও আসে মিথ্যাও আসে। নবী (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার কাছে মিশ্রিত হয়ে গেছে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি বিষয় ধ্যানে লুকিয়ে রাখলাম বল তো কি? তিনি (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) আয়াতটি গোপনে পাঠ করেছিলেন।
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ তা হল ’‘দুখ’’
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হ, তুই কখনো তোর তাকদীর অতিক্রম করতে পারবি না।
উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে যদি সত্যই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে তবে তো তার উপর তোমার ক্ষমতা হবে না। আর যদি (দাজ্জাল) না হয়ে থাকে তবে একে হত্যা করা তো তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।
ইবনে সাইয়্যাদ তাঁর দিকে তাকিয়ে বললঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি উম্মীদের রাসূল।
আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেনঃ এরপর ইবনে সাইয়্যাদ নবী (ﷺ)-কে বললঃ আপনি কি সাক্ষ্য দেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল?
নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছি।
তারপর নবী (ﷺ) তাকে বললেনঃ কি আসে তোমার কাছে?
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ আমার কাছে সত্যও আসে মিথ্যাও আসে। নবী (ﷺ) বললেনঃ বিষয়টি তোমার কাছে মিশ্রিত হয়ে গেছে।
এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমি তোমার জন্য একটি বিষয় ধ্যানে লুকিয়ে রাখলাম বল তো কি? তিনি (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) আয়াতটি গোপনে পাঠ করেছিলেন।
ইবনে সাইয়্যাদ বললঃ তা হল ’‘দুখ’’
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ দূর হ, তুই কখনো তোর তাকদীর অতিক্রম করতে পারবি না।
উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ সে যদি সত্যই (দাজ্জাল) হয়ে থাকে তবে তো তার উপর তোমার ক্ষমতা হবে না। আর যদি (দাজ্জাল) না হয়ে থাকে তবে একে হত্যা করা তো তোমার জন্য কল্যাণকর নয়।
أبواب الفتن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِابْنِ صَيَّادٍ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ عِنْدَ أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ وَهُوَ غُلاَمٌ فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ " . فَنَظَرَ إِلَيْهِ ابْنُ صَيَّادٍ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ . ثُمَّ قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَتَشْهَدُ أَنْتَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرُسُلِهِ " . ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا يَأْتِيكَ " . قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي خَبَأْتُ لَكَ خَبِيئًا " . وَخَبَأَ لَهُ : (يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ هُوَ الدُّخُّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اخْسَأْ فَلَنْ تَعْدُوَ قَدْرَكَ " . قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ يَكُ حَقًّا فَلَنْ تُسَلَّطَ عَلَيْهِ وَإِنْ لاَ يَكُنْهُ فَلاَ خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ " . قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ يَعْنِي الدَّجَّالَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .