আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
৩৩. ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের বিবরণ
হাদীস নং: ২২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৮
ইবনে সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।
২২৫১. আব্দুল্লাহ ইবনে মুআবিয়া জুমাহী (রাহঃ) ..... আব্দুর রহমান ইবনে আবু বাকরা তার পিতা আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তাদের কোন সন্তান হবে না। পরে তাদের এক কানা শিশুর জন্ম হবে। যা হবে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত অনুপোকারী। তার চোখ তো হবে নিদ্রিত কিন্তু অন্তর হবে না।
এরপর নবী (ﷺ) তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়নের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবাইর ইবনে আওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রূপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?
আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?
সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না।
এরপর নবী (ﷺ) তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়নের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবাইর ইবনে আওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রূপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।
আবু বাকরা (রাযিঃ) বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?
আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?
সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না।
بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَمْكُثُ أَبُو الدَّجَّالِ وَأُمُّهُ ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ " . ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ " أَبُوهُ طِوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فَرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ " . فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ فَقَالاَ مَكَثْنَا ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ . قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مُنْجَدِلٌ فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ مَا قُلْتُمَا قُلْنَا وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا قَالَ نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ .


বর্ণনাকারী: