আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২৭. সুন্দর ব্যবহার ও আত্নীয়তার সম্পর্ক রক্ষার অধ্যায়
হাদীস নং: ১৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৯১৩
কন্যা ও বোনদের জন্য ব্যয় করা।
১৯১৯। আলা ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মেয়ে দিয়ে যাকে পরীক্ষার সম্মুখীন করা হয়, সে যদি তাদের বিষয়ে ধৈর্যধারণ করে তবে তারাই তার জন্য জাহান্নামের পথে পর্দা (বাঁধা) হয়ে দাঁড়াবে।
باب مَا جَاءَ فِي النَّفَقَةِ عَلَى الْبَنَاتِ وَالأَخَوَاتِ
حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ مَسْلَمَةَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ ابْتُلِيَ بِشَيْءٍ مِنَ الْبَنَاتِ فَصَبَرَ عَلَيْهِنَّ كُنَّ لَهُ حِجَابًا مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
(যে ব্যক্তিই এ কন্যাসন্তানদের দ্বারা কিছুটা পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তারপর সে তাদের প্রতি সুন্দর ব্যবহার করবে, তার জন্য তারা জাহান্নামের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হবে)। ابتلي ক্রিয়াপদটি بلاء থেকে তৈরি। এর মূল অর্থ পরীক্ষা। বিপদ-আপদকেও 'বালা' বলা হয়। এর কারণ বালা-মসিবত দ্বারা মানুষকে পরীক্ষা করা হয় সে তাতে ধৈর্যধারণ করে না দিশা হারিয়ে ফেলে।
হাদীছে যে কন্যাসন্তানকে পরীক্ষার বিষয় বলা হয়েছে, তার কারণ হল দীনী অবক্ষয়ের কারণে অনেকে কন্যাসন্তানকে অবজ্ঞা করে। এ কারণে যার কন্যাসন্তান জন্ম নেয় সেও কেমন লজ্জাবোধ করে। হাদীছে ইশারা করা হচ্ছে যে, তোমার জন্য এটা পরীক্ষা– তুমি কন্যাসন্তানের কারণে লজ্জিত, নাকি তাকে আল্লাহর দান ও নিআমত মনে করে সন্তুষ্ট। পরীক্ষা করা হয় তার বিবাহের ব্যাপারেও। লক্ষ করা হয় তুমি তার বিবাহে কেবল দুনিয়াটাই দেখ, নাকি দীনদার ছেলেকে অগ্রাধিকার দাও। একটা কঠিন পরীক্ষা হয় বিবাহের পরও। ছেলেপক্ষ ইসলামী আখলাক ও শিষ্টাচারে অভ্যস্ত না হলে মেয়ের সঙ্গে সন্তোষজনক আচরণ করে না। কখনও মানসিক নির্যাতন করে, কখনও বা দৈহিক। পিতামাতার পক্ষে তা মর্মবিদারক। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ও হিকমতের সঙ্গে কাজ করা উচিত। মেয়েকে নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাকে কিছুতেই অসহায় ছেড়ে দেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
যাহোক এ হাদীছ বলছে, কন্যাসন্তান দ্বারা যে-কোনওরকম পরীক্ষার সম্মুখীন হলে তাতে বিরক্ত না হয়ে যদি তাদের প্রতি সদাচরণ ও উত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে তার ফযীলত হল এই যে, এর ফলে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাদের প্রতি সুন্দর ব্যবহার করার কারণে আল্লাহ তাআলা পিতামাতাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. পিতামাতার জন্য কন্যাসন্তান পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ দেখেন পিতামাতা তাকে অবজ্ঞা করে, নাকি তাকে আল্লাহ তাআলার দান ও নিআমত মনে করে এবং মায়া মমতার সাথে তার প্রতিপালন করে।
খ. কন্যাসন্তানের সুন্দর লালন-পালন দ্বারা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা হয়, যা কিনা মানুষের পরম লক্ষ্যবস্তু। কাজেই এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যও পরম মমতার সাথে কন্যাসন্তানের লালন-পালন করা চাই।
হাদীছে যে কন্যাসন্তানকে পরীক্ষার বিষয় বলা হয়েছে, তার কারণ হল দীনী অবক্ষয়ের কারণে অনেকে কন্যাসন্তানকে অবজ্ঞা করে। এ কারণে যার কন্যাসন্তান জন্ম নেয় সেও কেমন লজ্জাবোধ করে। হাদীছে ইশারা করা হচ্ছে যে, তোমার জন্য এটা পরীক্ষা– তুমি কন্যাসন্তানের কারণে লজ্জিত, নাকি তাকে আল্লাহর দান ও নিআমত মনে করে সন্তুষ্ট। পরীক্ষা করা হয় তার বিবাহের ব্যাপারেও। লক্ষ করা হয় তুমি তার বিবাহে কেবল দুনিয়াটাই দেখ, নাকি দীনদার ছেলেকে অগ্রাধিকার দাও। একটা কঠিন পরীক্ষা হয় বিবাহের পরও। ছেলেপক্ষ ইসলামী আখলাক ও শিষ্টাচারে অভ্যস্ত না হলে মেয়ের সঙ্গে সন্তোষজনক আচরণ করে না। কখনও মানসিক নির্যাতন করে, কখনও বা দৈহিক। পিতামাতার পক্ষে তা মর্মবিদারক। এ ক্ষেত্রে ধৈর্য ও হিকমতের সঙ্গে কাজ করা উচিত। মেয়েকে নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাকে কিছুতেই অসহায় ছেড়ে দেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
যাহোক এ হাদীছ বলছে, কন্যাসন্তান দ্বারা যে-কোনওরকম পরীক্ষার সম্মুখীন হলে তাতে বিরক্ত না হয়ে যদি তাদের প্রতি সদাচরণ ও উত্তম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে তার ফযীলত হল এই যে, এর ফলে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাদের প্রতি সুন্দর ব্যবহার করার কারণে আল্লাহ তাআলা পিতামাতাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. পিতামাতার জন্য কন্যাসন্তান পরীক্ষাস্বরূপ। আল্লাহ দেখেন পিতামাতা তাকে অবজ্ঞা করে, নাকি তাকে আল্লাহ তাআলার দান ও নিআমত মনে করে এবং মায়া মমতার সাথে তার প্রতিপালন করে।
খ. কন্যাসন্তানের সুন্দর লালন-পালন দ্বারা জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা হয়, যা কিনা মানুষের পরম লক্ষ্যবস্তু। কাজেই এ লক্ষ্য অর্জনের জন্যও পরম মমতার সাথে কন্যাসন্তানের লালন-পালন করা চাই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
