আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
২৫. খাদ্য ও পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৮২৫
জাল্লালা এর গোশত খাওয়া ও এর দুধ পান করা।
১৮৩২। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) মুজাছছামা (অর্থাৎ বেঁধে রেখে তীর নিক্ষপে যে পশু বধ করা হয়), জাল্লালা-এর দুধ এবং মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) বলেন, ইবনে আবু আদী (রাহঃ) ও সাঈদ ইবনে আবু আরূবা-কাতাদা-ইকরিমা-ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) বলেন, ইবনে আবু আদী (রাহঃ) ও সাঈদ ইবনে আবু আরূবা-কাতাদা-ইকরিমা-ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي أَكْلِ لُحُومِ الْجَلاَّلَةِ وَأَلْبَانِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الْمُجَثَّمَةِ وَلَبَنِ الْجَلاَّلَةِ وَعَنِ الشُّرْبِ مِنْ فِي السِّقَاءِ .
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছটিতে কলস বা মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনও কোনও ফকীহ এর কারণ বলেছেন এই যে, এভাবে পানি পান করলে কলসের ভেতর পানকারীর নিঃশ্বাস পড়তে পারে। পড়তে পারে তার পেট থেকে উঠে আসা গ্যাসও। এতে পানি অরুচিকর হয়ে যায়। সকলের সে পানি পান করার রুচি হবে না। তাই এভাবে পানি পান করা উচিত নয়।
তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
তাছাড়া এভাবে পানি পান করলে নিজেরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। হয়তো অনেক বেশি পানি পড়ে তার নাকে-মুখে চলে যাবে। গলায় আটকে যেতে পারে। তাছাড়া কলসের ভেতর পোকা-মাকড়ও থাকতে পারে, যা তার মুখে চলে যাবে। এ বিষয়ে একটি হাদীছও আছে।
لَقَدْ شَرِبَ رَجُلٌ مِنْ فَم سِقَاء، فَانْسَابَ فِي بَطْنِهِ جَانٌّ، فَنَهَى رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ اخْتِنَاث الْأَسْقِيَةِ
‘এক ব্যক্তি মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করল। তখন তার পেটে একটা সাপ ঢুকে গেল। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশক উল্টে তার মুখ থেকে পানি পান করতে নিষেধ করে দিলেন।’(মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪১২৭: বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৬২)
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
কলস, মশক ইত্যাদির মুখে মুখ লাগিয়ে পানি পান করা উচিত নয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
