আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৪২
২০০৩. (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আর নিশ্চয়ই ইলিয়াসও রাসুলগণের মধ্যে একজন ছিলেন। স্মরণ কর, তিনি তার সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, তোমরা কি সাবধান হবে না? .... আমি তা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। (৩৭ঃ ১২৩-১২৯)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, (নবীদের কথা) মর্যাদার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। ইলিয়াসের প্রতি সালাম। আমি সৎ-কর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। (৩৭ঃ ১৩০-১৩২) ইবনে মাসউস ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, ইলিয়াস (আলাইহিস সালাম)-ই ছিলেন ইদরিস (আলাইহিস সালাম)
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, (নবীদের কথা) মর্যাদার সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। ইলিয়াসের প্রতি সালাম। আমি সৎ-কর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। (৩৭ঃ ১৩০-১৩২) ইবনে মাসউস ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, ইলিয়াস (আলাইহিস সালাম)-ই ছিলেন ইদরিস (আলাইহিস সালাম)
৩১০৬। আবদান ও আহমাদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু যর (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, (লাইলাতুল মি‘রাজে) আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। তারপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করলেন এবং আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। এরপর তিনি যমযমের পানি দ্বারা তা ধুইলেন। এরপর হিকমত ও ঈমান (জ্ঞান ও বিশ্বাস) দ্বারা পরিপূর্ণ একখানা সোনার তশতরী নিয়ে আসেন এবং তা আমার বক্ষে ঢেলে দিলেন। তারপর আমার বক্ষকে পূর্বের ন্যায় মিলিয়ে দিলেন। এবার তিনি আমার হাত ধরলেন এবং আমাকে আকাশের দিকে উঠিয়ে নিলেন। এরপর যখন দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে পৌছলেন, তখন জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) আকাশের দ্বাররক্ষীকে বললেন, দরজা খুলুন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কে? জবাব দিলেন, আমি জিবরাঈল। দ্বাররক্ষী বললেন, আপনার সাথে কি আর কেউ আছেন? তিনি বললেন, আমার সাথে মুহাম্মাদ(ﷺ) আছেন। দ্বাররক্ষী জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? বললেন, হ্যাঁ। তারপর দরজা খোলা হল।
যখন আমরা আকাশের উপরে আরোহণ করলাম, হঠাৎ দেখলাম এক ব্যক্তি যার ডানে একদল লোক আর তাঁর বামেও একদল লোক। যখন তিনি তাঁর ডান দিকে তাকান তখন হাসতে থাকেন আর যখন তাঁর বাম দিকে তাকান তখন কাঁদতে থাকেন। (তিনি আমাকে দেখে) বললেন, মারহাবা! হে নবী ও নেক সন্তান। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে জিবরাঈল! ইনি কে? তিনি জবাব দিলেন, ইনি আদম (আলাইহিস সালাম) আর তাঁর ডানের ও বামের এ লোকগুলো হল তাঁর সন্তান (আত্মাসমূহ) এদের মধ্যে ডানদিকের লোকগুলো হল জান্নাতী আর বামদিকের লোকগুলো হল জাহান্নামী। অতএব যখন তিনি ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন।
এরপর আমাকে নিয়ে জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) আরো উপরে উঠলেন। এমনকি দ্বিতীয় আকাশের দ্বারে এসে গেলেন। তখন তিনি এ আকাশের দ্বাররক্ষীকে বললেন, দরজা খুলুন! দ্বাররক্ষী তাঁকে প্রথম আকাশের দ্বাররক্ষী যেরূপ বলেছিল, অনুরূপ বলল। তারপর তিনি দরজা খুলে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর আবু যর (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, নবী (ﷺ) আকাশসমূহে ইদরীস, মুসা , ঈসা এবং ইবরাহীম (আলাইহিমুস সালাম)- এর সাক্ষাত পেয়েছেন। তাঁদের কার অবস্থান কোন আকাশে তিনি আমার কাছে তা বর্ণনা করেন নি। তবে তিনি এটা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি (নবী ﷺ) দুনিয়ার নিকটর্তী আকাশে আদম (আলাইহিস সালাম)- কে এবং ষষ্ঠ আকাশে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে দেখতে পেয়েছেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) যখন (নবী (ﷺ) সহ) ইদরীস (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, তখন তিনি (ইদরীস আলাইহিস সালাম) বলেছিলেন, হে নেক নবী এবং নেক ভাই! আপনাকে মারহাবা। (নবী (ﷺ) বলেন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) জবাব দিলেন, ইনি ইদরীস (আলাইহিস সালাম)। এরপর মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) বললেন, ইনি মুসা (আলাইহিস সালাম)। তারপর ঈসা (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) জবাব দিলেন, ইনি ঈসা (আলাইহিস সালাম)। অতঃপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা। হে নেক নবী এবং নেক সন্তান! আমি জানতে চাইলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) বললেন, ইনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে ইবনে হাযম (রাহঃ) জানিয়েছেন যে, ইবনে আব্বাস ও আবু হাইয়্যা আনসারী (রাযিঃ) বলতেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, এরপর জিবরাঈল আমাকে উর্ধ্বে নিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত আমি একটি সমতল স্থানে গিয়ে পৌছলাম। সেখান থেকে কলমসমুহের খসখস শব্দ শুনছিলাম। ইবনে হাযম (রাহঃ) এবং আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, তখন আল্লাহ আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। এরপর আমি এ নির্দেশ নিয়ে ফিরে চললাম। যখন মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার রব আপনার উম্মতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, তাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান (এবং তা কমাবার জন্য আবেদন করুন।) কেননা আপনার উম্মতের তা পালন করার সামর্থ্য থাকবে না।
তখন ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার জন্য আবেদন করলাম। তিনি তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি বললেন, আপনার রবের কাছে পুনরায় কমাবার আবেদন করুন এবং তিনি (নবী (ﷺ)) পূর্বের অনুরূপ কথা আবার উল্লেখ করলেন। এবার তিনি (আল্লাহ) তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আবার আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসলাম এবং তিনি পূর্বের মত বললেন। আমি তা করলাম। তখন আল্লাহ তার এক অংশ মাফ করে দিলেন। আমি পুনরায় মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসলাম এবং তাঁকে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, আপনার রবের নিকট গিয়ে আরো কমাবার আরয করুন। কেননা আপনার উম্মতের তা পালন করার সামর্থ্য থাকবে না। আমি আবার ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার আবেদন করলাম। তিনি বললেন, এ পাঁচ ওয়াক্ত নামায বাকী রইল। আর তা সাওয়াবের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাযের সমান হবে।আমার কথার পরিবর্তন হয় না।
তারপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি এবারও বললেন, আপনার রবের কাছে গিয়ে আবেদন করুন। আমি বললাম, এবার আমার রবের সম্মুখীন হতে আমি লজ্জাবোধ করছি। এরপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চললেন এবং অবশেষে আমাকে সাথে করে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। দেখলাম তা এমন অপরূপ রঙে পরিপূর্ণ, যা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই। এরপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হল। দেখলাম এর ইট হচ্ছে মোতির তৈরী আর তার মাটি হচ্ছে মিসক বা কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধ যুক্ত।
যখন আমরা আকাশের উপরে আরোহণ করলাম, হঠাৎ দেখলাম এক ব্যক্তি যার ডানে একদল লোক আর তাঁর বামেও একদল লোক। যখন তিনি তাঁর ডান দিকে তাকান তখন হাসতে থাকেন আর যখন তাঁর বাম দিকে তাকান তখন কাঁদতে থাকেন। (তিনি আমাকে দেখে) বললেন, মারহাবা! হে নবী ও নেক সন্তান। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে জিবরাঈল! ইনি কে? তিনি জবাব দিলেন, ইনি আদম (আলাইহিস সালাম) আর তাঁর ডানের ও বামের এ লোকগুলো হল তাঁর সন্তান (আত্মাসমূহ) এদের মধ্যে ডানদিকের লোকগুলো হল জান্নাতী আর বামদিকের লোকগুলো হল জাহান্নামী। অতএব যখন তিনি ডান দিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বাম দিকে তাকান তখন কাঁদেন।
এরপর আমাকে নিয়ে জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) আরো উপরে উঠলেন। এমনকি দ্বিতীয় আকাশের দ্বারে এসে গেলেন। তখন তিনি এ আকাশের দ্বাররক্ষীকে বললেন, দরজা খুলুন! দ্বাররক্ষী তাঁকে প্রথম আকাশের দ্বাররক্ষী যেরূপ বলেছিল, অনুরূপ বলল। তারপর তিনি দরজা খুলে দিলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, এরপর আবু যর (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, নবী (ﷺ) আকাশসমূহে ইদরীস, মুসা , ঈসা এবং ইবরাহীম (আলাইহিমুস সালাম)- এর সাক্ষাত পেয়েছেন। তাঁদের কার অবস্থান কোন আকাশে তিনি আমার কাছে তা বর্ণনা করেন নি। তবে তিনি এটা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি (নবী ﷺ) দুনিয়ার নিকটর্তী আকাশে আদম (আলাইহিস সালাম)- কে এবং ষষ্ঠ আকাশে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে দেখতে পেয়েছেন।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) যখন (নবী (ﷺ) সহ) ইদরীস (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, তখন তিনি (ইদরীস আলাইহিস সালাম) বলেছিলেন, হে নেক নবী এবং নেক ভাই! আপনাকে মারহাবা। (নবী (ﷺ) বলেন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) জবাব দিলেন, ইনি ইদরীস (আলাইহিস সালাম)। এরপর মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) বললেন, ইনি মুসা (আলাইহিস সালাম)। তারপর ঈসা (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) জবাব দিলেন, ইনি ঈসা (আলাইহিস সালাম)। অতঃপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা। হে নেক নবী এবং নেক সন্তান! আমি জানতে চাইলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) বললেন, ইনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে ইবনে হাযম (রাহঃ) জানিয়েছেন যে, ইবনে আব্বাস ও আবু হাইয়্যা আনসারী (রাযিঃ) বলতেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, এরপর জিবরাঈল আমাকে উর্ধ্বে নিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত আমি একটি সমতল স্থানে গিয়ে পৌছলাম। সেখান থেকে কলমসমুহের খসখস শব্দ শুনছিলাম। ইবনে হাযম (রাহঃ) এবং আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, তখন আল্লাহ আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। এরপর আমি এ নির্দেশ নিয়ে ফিরে চললাম। যখন মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার রব আপনার উম্মতের উপর কি ফরয করেছেন? আমি বললাম, তাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান (এবং তা কমাবার জন্য আবেদন করুন।) কেননা আপনার উম্মতের তা পালন করার সামর্থ্য থাকবে না।
তখন ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার জন্য আবেদন করলাম। তিনি তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি বললেন, আপনার রবের কাছে পুনরায় কমাবার আবেদন করুন এবং তিনি (নবী (ﷺ)) পূর্বের অনুরূপ কথা আবার উল্লেখ করলেন। এবার তিনি (আল্লাহ) তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আবার আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসলাম এবং তিনি পূর্বের মত বললেন। আমি তা করলাম। তখন আল্লাহ তার এক অংশ মাফ করে দিলেন। আমি পুনরায় মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসলাম এবং তাঁকে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, আপনার রবের নিকট গিয়ে আরো কমাবার আরয করুন। কেননা আপনার উম্মতের তা পালন করার সামর্থ্য থাকবে না। আমি আবার ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার আবেদন করলাম। তিনি বললেন, এ পাঁচ ওয়াক্ত নামায বাকী রইল। আর তা সাওয়াবের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাযের সমান হবে।আমার কথার পরিবর্তন হয় না।
তারপর আমি মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে ফিরে আসলাম। তিনি এবারও বললেন, আপনার রবের কাছে গিয়ে আবেদন করুন। আমি বললাম, এবার আমার রবের সম্মুখীন হতে আমি লজ্জাবোধ করছি। এরপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) চললেন এবং অবশেষে আমাকে সাথে করে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। দেখলাম তা এমন অপরূপ রঙে পরিপূর্ণ, যা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই। এরপর আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হল। দেখলাম এর ইট হচ্ছে মোতির তৈরী আর তার মাটি হচ্ছে মিসক বা কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধ যুক্ত।
