আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

১৬. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং: ১৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬
কিসাস গ্রহণ ও ক্ষমা প্রদানে নিহত ব্যক্তির ওলীর অধিকার।
১৪১০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আবু শুরায়হ কা‘বী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলাই মক্কাকে ‘হারাম’ ঘোষণা করেছেন। কোন মানূষ একে হারামরূপে নির্ধারণ করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিনে ঈমান রাখে সে যেন এতে কোন রক্ত প্রবাহিত না করে, কোন বৃক্ষ কর্তন না করে। (আমার যুদ্ধ করা দেখে) কোন সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর জন্য তো ‘মক্কা’ হালাল করা হয়েছিল, তবে (জেনে রাখ), আল্লাহ তাআলা আমার জন্য তা হালাল করেছিলেন, অন্যান্য লোকের জন্য হালাল করেননি। আর আমার জন্যও তা দিনের কিছুক্ষণের জন্য মাত্র হালাল করা হয়েছিল। এরপর তা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত হারাম। তারপর (তিনি বললেন) হে খুযাআ সম্প্রদায়, তোমরা হুযায়ল গোত্রের এই লোকটিকে হত্যা করেছ। আমি তার দিয়াত আদায় করব। তবে আজকের পর কারো যদি কেউ নিহত হয়, তবে পরিজনদের এই দু’ইটার মধ্যে একটির অধিকার থাকবে-হয়ত (হত্যাকারীকে) হত্যা করবে নয়ত দিয়াত গ্রহণ করবে।

এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিও (১৪০৯) হাসান-সহীহ। শায়বান (রাহঃ)ও এটিকে ইয়াহয়া ইবনে আবী কাছীর থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু শুরায়হ খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, কারো যদি কেউ নিহত হয় তবে সে (কিসাসরূপে হত্যাকারীকে) হত্যা করতে পারে, অথবা কিসাস ক্ষমা করে সে দিয়াত গ্রহণ করতে পারে। কতক আলিমের মাযহাব এ হাদীস অনুসারে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ وَلِيِّ الْقَتِيلِ فِي الْقِصَاصِ وَالْعَفْوِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَسْفِكَنَّ فِيهَا دَمًا وَلاَ يَعْضِدَنَّ فِيهَا شَجَرًا فَإِنْ تَرَخَّصَ مُتَرَخِّصٌ فَقَالَ أُحِلَّتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَإِنَّ اللَّهَ أَحَلَّهَا لِي وَلَمْ يُحِلَّهَا لِلنَّاسِ وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ ثُمَّ هِيَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِنَّكُمْ مَعْشَرَ خُزَاعَةَ قَتَلْتُمْ هَذَا الرَّجُلَ مِنْ هُذَيْلٍ وَإِنِّي عَاقِلُهُ فَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ بَعْدَ الْيَوْمِ فَأَهْلُهُ بَيْنَ خِيرَتَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقْتُلُوا أَوْ يَأْخُذُوا الْعَقْلَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرَوَاهُ شَيْبَانُ أَيْضًا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ مِثْلَ هَذَا . - وَرُوِيَ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَلَهُ أَنْ يَقْتُلَ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ " . وَذَهَبَ إِلَى هَذَا بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান