আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
১০. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬৮
রোগীর খোঁজ-খবর নেয়া।
৯৭১. মুহাম্মাদ ইবনুল ওয়াযীর ওয়াসিতী (রাহঃ) ...... ছাওবান (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে আরো আছে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, খুরফাতুল জান্নাত কি? তিনি বললেন, এ হলো জান্নাতের কুড়ানো ফল। - মুসলিম
আহমাদ ইবনে আব্দা আয যাববী (রাহঃ) ছাওবান (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে খালিদ (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত (৯৬৯ নং) এর অনুরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু এই সনদে আবুল আশআছ এর উল্লেখ নাই। কেউ কেউ এই হাদীসকে হান্নাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত করেছেন। কিন্তু তারা মারফুরূপে উল্লেখ করেন নি।
আহমাদ ইবনে আব্দা আয যাববী (রাহঃ) ছাওবান (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে খালিদ (রাযিঃ) এর রিওয়ায়াত (৯৬৯ নং) এর অনুরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু এই সনদে আবুল আশআছ এর উল্লেখ নাই। কেউ কেউ এই হাদীসকে হান্নাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত করেছেন। কিন্তু তারা মারফুরূপে উল্লেখ করেন নি।
باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَزَادَ فِيهِ قِيلَ مَا خُرْفَةُ الْجَنَّةِ قَالَ " جَنَاهَا " .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ خَالِدٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ خَالِدٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সকল মুসলিম ভাই ভাই। ইসলামী ভ্রাতৃত্বের সুবাদে এক মুসলিমের উপর আরেক মুসলিমের নানা হক রয়েছে। তার মধ্যে একটি হক হল ইয়াদাত করা। ইয়াদাত অর্থ রোগী দেখতে যাওয়া। কোনও মুসলিম রোগাক্রান্ত হলে তাকে দেখতে যাওয়া সেই মুসলিম রোগীর একটি হক। বিভিন্ন হাদীছে এর বিপুল ছাওয়াব বর্ণিত হয়েছে। যেমন আলোচ্য হাদীছটিতে ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ المُسْلِمَ، لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ (অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে জান্নাতের খুরফা আহরণে রত থাকে)। 'মুসলিম ভাই' কথাটি দীনী কর্তব্যবোধের প্রতি ইঙ্গিত। দীনী সূত্রে এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। যেমন কুরআন মাজীদেও ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ
'মুমিনগণ তো ভাই ভাই’। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১০)
তারা যখন একে অন্যের ভাই, তখন সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় একের প্রতি অন্যের ভ্রাতৃত্বমূলক আচরণ করা উচিত। কাজেই কোনও মুসলিম ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন সে ভ্রাতৃত্বের দাবি হল অপর মুসলিম অবশ্যই তাকে দেখতে যাবে, তার খোঁজখবর নেবে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। মুসলিমগণ এ দায়িত্ব যাতে পালন করে, সেজন্য এ কাজের বিনিময়ে মহাপুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ হাদীছটিতে বলা হয়েছে, রোগীকে দেখার উদ্দেশে বের হওয়া থেকে শুরু করে যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে জান্নাতের খুরফার ভেতর থাকে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জান্নাতের খুরফা কী? তিনি বললেন-
جناها (তার ফলমূল)। অর্থাৎ রোগী দেখতে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতের ফলমূল আহরণে লেগে যায়। তার পদে পদে ছাওয়াব হয়। সে ছাওয়াবকেই জান্নাতের ফল বলা হয়েছে। কারণ ছাওয়াব দ্বারা জান্নাত ও জান্নাতের ফলমূল লাভ হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যাওয়া দীনী কর্তব্য।
খ. অসুস্থ ভাইকে দেখতে যাওয়া যেন জান্নাতের ফল পেড়ে খাওয়া।
গ. রোগী দেখতে বের হওয়ার পর ফিরে না আসা পর্যন্ত পূর্ণ সময়টায়ই নেকী অর্জন হতে থাকে।
إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ المُسْلِمَ، لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ (অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে জান্নাতের খুরফা আহরণে রত থাকে)। 'মুসলিম ভাই' কথাটি দীনী কর্তব্যবোধের প্রতি ইঙ্গিত। দীনী সূত্রে এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। যেমন কুরআন মাজীদেও ইরশাদ হয়েছে-
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ
'মুমিনগণ তো ভাই ভাই’। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১০)
তারা যখন একে অন্যের ভাই, তখন সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় একের প্রতি অন্যের ভ্রাতৃত্বমূলক আচরণ করা উচিত। কাজেই কোনও মুসলিম ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন সে ভ্রাতৃত্বের দাবি হল অপর মুসলিম অবশ্যই তাকে দেখতে যাবে, তার খোঁজখবর নেবে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। মুসলিমগণ এ দায়িত্ব যাতে পালন করে, সেজন্য এ কাজের বিনিময়ে মহাপুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ হাদীছটিতে বলা হয়েছে, রোগীকে দেখার উদ্দেশে বের হওয়া থেকে শুরু করে যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে জান্নাতের খুরফার ভেতর থাকে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জান্নাতের খুরফা কী? তিনি বললেন-
جناها (তার ফলমূল)। অর্থাৎ রোগী দেখতে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জান্নাতের ফলমূল আহরণে লেগে যায়। তার পদে পদে ছাওয়াব হয়। সে ছাওয়াবকেই জান্নাতের ফল বলা হয়েছে। কারণ ছাওয়াব দ্বারা জান্নাত ও জান্নাতের ফলমূল লাভ হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যাওয়া দীনী কর্তব্য।
খ. অসুস্থ ভাইকে দেখতে যাওয়া যেন জান্নাতের ফল পেড়ে খাওয়া।
গ. রোগী দেখতে বের হওয়ার পর ফিরে না আসা পর্যন্ত পূর্ণ সময়টায়ই নেকী অর্জন হতে থাকে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)


বর্ণনাকারী: